দীপক দাস সেবারের সেই ট্রেন সফরের কথা মনে পড়লে দু’টো ছবি ভেসে ওঠে। একটা ছবিতে শুধু সুন্দর…সুন্দর আর সুন্দর। ভূত দেখতে যাওয়ার রোমাঞ্চটা কবেই যেন চাপা দিয়েছে প্রকৃতি। অনন্ত, অপরূপ প্রকৃতি। আরেকটা ছবিতে একটা ফিচেল হাসি। শয়তানির হাসিও বলা যায়। অল্প প্রসারিত হওয়া ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে বেরনো কথাগুলোও মনে পড়ে, ‘বাগালিয়া, কী বাগালিয়া?’ বাগিয়ে নেওয়ার […]
অন্য সফর
ওড়িশার পটচিত্রের গ্রাম রঘুরাজপুরে
তনয় শীল যাত্রা শুরু হয়েছিল জগন্নাথদেব দর্শনে। কিন্তু হঠাৎ জানা তথ্যে অটো চাকা বেঁকে গেল শিল্পীদের এক গ্রামের দিকে। দেবদর্শনের আগে শিল্পী দর্শন। সেই গ্রামেও অবশ্য দেবদর্শন হয়েছিল। জগন্নাথদেবেরই দর্শন। একটু অন্য ভাবে। সে কথা বলতেই আজ ফিরে আসা। গত ১৯ নভেম্বর, ২০২১ সাল। সন্ধ্যে ৭টা ৫ মিনিটের ‘হাওড়া-পুরী’ এক্সপ্রেস। চেপে বসেছিলাম মাকে নিয়ে। রওনা […]
একটি মিষ্টির দোকান ও বিভূতিভূষণের স্মৃতিপথ
দীপক দাস খোঁজ শুরু হয়েছিল পান্তুয়ার। পথ গিয়ে মিলল ‘পথের কবি’র পদপ্রান্তে। তার পর তাঁর পদচিহ্ন ধরে সফরের আয়োজন। এ সফরের স্বাদ অনেক রকম। মিষ্টি, কষায়। সফরের শুরুটা কিন্তু আকস্মিক। দলের সকলেই ব্যস্ত। একা একা ‘হেথা নয় অন্য কোথা’ করে বেড়াচ্ছিলাম। হঠাৎ একদিন দীপুবাবুর ফোন, ‘‘কচি আসবে। একটা জায়গা ঠিক করো। মঙ্গলবার বেরোব।’’ কচি মানে […]
ইতিউতি হাওড়ার জীবজগৎ— নবম পর্ব
যথা ইচ্ছা তথা যা বৃষ্টি এবার বেশ খামখেয়ালি। মাঠেঘাটে জল আছে শীতকালেও। সেই কারণেই বোধহয় এবার শীতের পাখি বেশি দেখা যায়নি। বিশেষ করে ভূমিচর পাখিগুলো। আমাদের পাতিহাল গ্রামের কথা বলছি। তবে এ বছর মন ভরিয়ে দিয়েছে মুনিয়া। তিন রকম মুনিয়া দেখা গিয়েছে। প্রজাপতির ওড়াওড়ি বেড়েছে বেশ এবার। কিন্তু খুব বেশি জনকে ক্যামেরা বন্দি করা যায়নি। […]
ভরতপুরে পটশিল্পীদের গ্রামে
ইন্দ্রজিৎ সাউ ‘‘হ্যালো দীপকদা, ভরতপুর পটশিল্পীদের গ্রাম, ব্যাপারটা কী?’’ হোটেল রূমে ঢুকেই ফোন করলাম। তার আগে জানিয়ে রাখি, এবারে আমরা ম্যারাথন সফরে বেরিয়েছি। সঙ্গে দিব্যেন্দু আর বাইচুং। আমাদের দলের সদস্যরা একেবারে বসে গিয়েছে। নড়তে চায় না কোথায়? তিনজন নিজের নিজের আধুনিক পক্ষীরাজ নিয়ে। উদ্দেশ্য, পাহাড়ি রাস্তায় বাইক চালিয়ে অ্যাডভেঞ্চার করা। সেই জন্যই আমাদের প্রথম গন্তব্য […]
বড়দিনের সকালে এক গ্রামীণ গির্জায়
ঋতুপর্ণা ঘোষ আমরা বড় শহুরে মানুষ। শহরের কোলাহল, বিভিন্ন কাজ, নিজেদের ব্যস্ততায় প্রকৃতির কাছে যাওয়াই হয় না। ব্যস্ততার মাঝে মনটা কিছুদিন ধরেই উড়ু উড়ু ছিল। তাই হয়ে গেল এক হঠাৎ ভ্রমণ। বড়দিনের আগের দিন। হঠাৎ ঠিক হল, পরদিন সকাল সকাল বেরিয়ে পড়া হবে। এখন কর্মক্ষেত্রে ছুটি। দিনটাও বেশ উৎসবের। বেরিয়ে পড়া যেতেই পারে। কিন্তু যাবটা […]
ঘরে ফেরার স্টেশন
সৌগত পাল গালাগাল আর কত খাওয়া যায়। তাই পেন থুড়ি কি বোর্ডে টাইপ করতেই হল। ক্যাপ্টেনের আবদার। তা-ও আবার গালাগাল দিয়ে। ক্যাপ্টেনের মতে, কোনও জায়গা একবার গেলে সম্পূর্ণ দেখা হয় না। অন্ততপক্ষে দু’বার যেতে হয়। আর দুই ভিন্ন ঋতুতে। যেমন আমরা মুরগুমা গেলাম পুজোর ছুটিতে। সেটাই একবার শীত বা বসন্তে ঘুরে আসা দরকার। ক্যাপ্টেন দু’টো […]
চিংড়ি আর নদের পারে ক্ষণিক জীবন
দীপক দাস ছিপ নিয়ে বসেছিলেন লোকটা। সে আর এমন কী দৃশ্য। আমাদের বাড়ির পাশের পুকুরের দিকে তাকালে প্রতিদিনই দেখা যায় কেউ না কেউ ছিপ হাতে ঘাটে বসে। বর্ষার জল জমলে বড় রাস্তার পাশে খালেও দেখা যায় বঁড়শেলদের। তফাৎ একটাই, লোকটা নদীর পারে বসেছিলেন। নদী নয়, নদ। দামোদর। তফাৎ আরও ছিল। সেটা নজরে এল যখন লোকটার […]
ইতিউতি হাওড়ার জীবজগৎ— অষ্টম পর্ব
যথা ইচ্ছা তথা যা ১। চামচিকে ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচতে মশারির ভিতরে থেকে পড়াশোনা করছি। রাত তখন মধ্য বা গভীর। হঠাৎ অন্যরকম একটা আওয়াজে চটক লাগল। আওয়াজটা যেন কাছ থেকেই আসছে। ও বাবা! দেখি মশারির ছাদে ডানা মেলে শুয়ে আছেন তিনি। ছুঁতে না পেরে বোধহয় রাগ হয়েছিল বাবুর। (দীপশেখর দাসের অভিজ্ঞতা)। ২। লার্ভা পাতিহালের ফিডার রোড। […]
মাদুর বোনা গ্রামের কথা
দেবাশিস দাস মাদুরও ইতিহাস বোনে। গড়ে নস্টালজিয়া মনের গহন স্মৃতিপটে। মাদুর এখন হারিয়ে যাওয়া অনেক কিছুর মতো স্মৃতিজাগানিয়া। সন্ধ্যের আড্ডা হোক বা গরমকালে ছাদে মাদুর পেতে ঘুম, সবেতেই জড়িয়ে ছিল মাদুর। শতছিন্ন, কাঠি ভাঙা মাদুরে প্রত্যন্ত গ্রামের হাজার হাজার কিশোর-তরুণ প্রজন্ম একদিন দেখেছিল সুখী আগামী দিনের স্বপ্ন। কেউ আজ সফল হয়ে কাঠের পালঙ্কে ম্যাট্রেস চাপিয়েছে। […]