দীপক দাস ঠান্ডা হাওয়ার গতিটা ধীরে ধীরে বাড়ছিল। আকাশে কালো মেঘ জমাট বেঁধেছে আগেই। একসময়ে ঠান্ডা হাওয়া ঝড়ের আকার নিল। আর তার পরেই ‘ঝম্পি ঘন গর জন্তি সন্ততি/ভুবন ভরি বরিখন্তিয়া’। জয়পুরের জঙ্গলে ওয়াচ টাওয়ারের খোলা ছাদে সেই ঝড়ের সন্ধে আমাদের চিরস্মরণীয়। ‘ভরা বাদর’এর বৈষ্ণব পদ ব্যবহার করলাম বটে। কিন্তু ওই ঝড়-বৃষ্টি ছিল মে মাসের। এ […]
অন্য সফর
ইতিউতি হাওড়ার জীবজগৎ— সপ্তম পর্ব
যথা ইচ্ছা তথা যা করোনা অতিমারি দ্বিতীয় বছরে পড়েছে। আবার লকডাউন। আবার একটু প্রকৃতির দিকে তাকানো। পাখি দেখাই বেশি। তবে কিছু কীটপতঙ্গও লক্ষ্য করা হচ্ছে। অভিজ্ঞরা যদি কিছু কীটপতঙ্গ চিনিয়ে দিতে পারেন তাহলে জানাটাও হয়ে যাবে। ১। সবজে পোকা সপ্তাহখানেক আগের কথা। একটা পোকা হঠাৎই নজর কাড়ল। উজ্জ্বল সবুজ গায়ের রং। সবুজ ডানা দু’টো বর্মের […]
নববর্ষের আলোয় কবি দিনেশ দাসের ভিটের খোঁজে
দীপক দাস ভাবছি, বেরিয়ে পড়াই ভাল! এত বাড়িতে থেকেছি প্রায় দেড় বছর ধরে…। কখনও ভাবিনি আমাদের মনের দমবন্ধ অবস্থা। যেতে আমরা পারি…যেতে আমাদের হবেই। ক্ষমা করবেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়। একটু হাসি, মজা প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। প্রতি মঙ্গলবার বাইক নিয়ে সাঁই সাঁই হওয়া দলটা সাপ্তাহিক আড্ডা পর্যন্ত প্রায় ভুলতে বসেছে। তাদের মনের অবস্থা কেমন হয়? খারাপ। তথৈবচ। […]
কংসাবতীর স্নেহের গোলাপ গ্রামে
দীপক দাস এই যে আমাদের ‘মঙ্গলে ঊষা বুধে পা’ দশা, এটা হল কী করে? বাকি সদস্যদের কথা বলতে পারি না। নিজের দশা-সই হওয়ার কথা ভেবেছি। ভাবতে ভাবতে মনে হয়েছে, এ অনেক দিনের মনোগত অভ্যাসের ফল। নানা অনুপ্রেরণার ফসল। প্রথম অনুপ্রেরণা, স্কুল জীবনে। আমাদের ক্রীড়া শিক্ষক সুনীল চক্রবর্তী। যাঁকে আমরা খেলার স্যার বলি। সময় সুযোগ পেলেই […]
নদীর নামে স্টেশন- কুন্তীঘাট
দীপক দাস প্রথম পড়া ভ্রমণ সাহিত্য কোনটা? রবি ঠাকুরের রেলগাড়ি চড়ার অভিজ্ঞতা। বাবার সঙ্গে বোলপুর যাত্রার সেই কাহিনি। সেই রেলগাড়িতে উঠতে গিয়ে পা ফসকে যাওয়ার ভয়। ছিটকে পড়ার আতঙ্ক। এটাই যে প্রথম সে বিষয়ে একমত হবেন অনেকেই। প্রাথমিক স্কুলে ‘কিশলয়’ নামের পাঠ্যবইয়ে ছিল লেখাটি। কোন ক্লাসের পাঠ্য ছিল তা আজ আর মনে নেই। দ্বিতীয় শ্রেণির […]
ইতিউতি হাওড়ার জীবজগৎ— ষষ্ঠ পর্ব
যথা ইচ্ছা তথা যা বাংলার জীববৈচিত্রে বিস্মিত হচ্ছি আমরা। মুগ্ধও। এত পাখি আমাদের চারপাশে! এত ধরনের প্রাণী! আপনারাও দেখুন। ১। বড় তিত বা রামগাংরা কী অপূর্ব দেখতে পাখিটা। ক’দিন ধরে ভরদুপুরে লাগাতার ছুটছি কুবো পাখির পিছনে। সে ব্যাটা, বেটিও হতে পারে, আমাকে দেখলেই দুদ্দাড় করে উড়ে পালায়। মন খারাপ হয়। ছুটতে ছুটতে যখন হতাশ ঠিক […]
ইতিউতি হাওড়ার জীবজগৎ— পঞ্চম পর্ব
যথা ইচ্ছা তথা যা আরও কিছু ছবি জোগাড় করা গিয়েছে। তাই সেগুলো আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া। ১। গুবরে পোকা আর জাল এখন বিভিন্ন জায়গাতেই ফসল বাঁচাতে জালের ব্যবহার করা হয়। জলাশয়ের মাছ বাঁচাতে জাল। মাঠের ফসল বাঁচাতেও জাল। ফলে পাখি আর প্রাণী উভয়েরই মৃত্যু হয়। সেদিন পাতিহালের মাঠে দেখা গেল, সরষে বাঁচাতে মাঠ জাল […]
পাঁচাল চেতনা লোকসংগ্রহশালা এবং
সনৎকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচাল গ্রামে ‘চেতনা লোকসংগ্রহশালা’ নামে একটি সংস্থা আছে। আগ্রহী মানুষেরা একদিন ঘুরে আসতে পারেন। আগে বলে নিই, আগ্রহের আছেটা কী? কারণ আপনাদের মনে এ প্রশ্ন আসতেই পারে। মশাই, সময়ের বড্ড আকাল পড়েছে, আগে বলুন আগ্রহের আছেটা কী? সেই তো! মানুষের আগ্রহের বিষয় বড় বিস্ময়কর। কারও আগ্রহ ঘাসের আগায় শিশিরবিন্দু, তো কারও কারও আগ্রহ […]
শীতবেলায় ফুলের সমুদ্রে
ইন্দ্রজিৎ সাউ সুব্রতর বেড়াতে যাওয়ার পোকাটা মাঝে মাঝেই নড়ে ওঠে। প্রত্যেক সপ্তাহে এক একটা জায়গার সন্ধান করে আর বলে, ‘যাবি?’ এই রকমই এক শুক্রবার ফোন করে বলল, ‘একটা জায়গার সন্ধান পেয়েছি। প্রচুর ফুলের চাষ হয়।’’ শুনেই জায়গাটা আন্দাজ করতে পারছিলাম। ‘যথা ইচ্ছা তথা যা’ আগেই ঘুরে এসেছে। আমাকে বাদ দিয়ে। শোধ নেওয়ার পালা এবার। সুব্রত […]
ইতিউতি হাওড়ার জীবজগৎ— চতুর্থ পর্ব
যথা ইচ্ছা তথা যা বেরনো হয় না নিয়ম করে। ভয়টা এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তার উপরে সকলকে একসঙ্গে পাওয়া মুশকিল। দূরের গন্তব্যে যাওয়ার মতো যানবাহন খুব একটা সহজলভ্য নয়। এদিকে ঘরেও থাকা যায় না। বাইরের ডাক নিশির ডাকের মতো অমোঘ। কিছু একটা তো উপায় বার করা জরুরি। হেঁটে হেঁটে আশপাশটা দেখা। একটু কান পাতলেই বোঝা যাবে, […]