সিগাল বা গাংচিল
জলযাত্রা পাহাড়িয়া বাঁশি বিশেষ ভ্রমণ

জল-পাহাড়ের পতরাতু পরশে

দীপশেখর দাস সফরের শুরুটা ভাল হল না মোটেই। সাঁতরাগাছি স্টেশনের কিছুটা আগে গড়পার কাছে জানের ধুকপুকানি বাড়িয়ে যানটা বিগড়ে গেল। পাংচার। পিছনের একটি চাকার সব হাওয়া একেবারে ফুস। যতক্ষণ ক্ষমতা ছিল সমস্ত প্রাণবায়ু দিয়ে আমাদের সাহায্য করে অতঃপর বেচারা প্রাণপাত করেছে। বাল্যবন্ধু তন্ময়ের সুমো গাড়িতে করে সপরিবারে সাতসকালেই পাড়ি দিয়েছি সাঁতরাগাছির উদ্দেশ্যে। অনেকদিন বেরোনো হয়নি। […]

তুলিন। পুরুলিয়া।
পাহাড়িয়া বাঁশি বিশেষ ভ্রমণ

তুলিনের সুবর্ণরেখা আর বনডি পাহাড়ে সূর্যাস্ত

দীপক দাস আর একটু হলে শিব্রাম চক্রবর্তীর গল্প হয়ে যাচ্ছিল। ঠিকঠাক মনে নেই। দার্জিলিংয়ের গল্প ছিল বোধহয়। এমনিতেই শিব্রামের পাহাড়ে উঠতে আপত্তি। আলস্যই মূল কারণ। যদিও মুখে বলেন, উঠে কী হবে? সেই তো নেমে আসতে হবে! আপাত দৃষ্টিতে পাহাড়ে ওঠা নামার সহজ কথা মনে হলেও ‘সিধি বাত’ নয় মোটেই। সম্ভবত চুড়োয় ওঠার জন্য মানুষের হাঁচড়পাঁচড়ের […]

জলাধার, ঝালদা, তুলিন
পাহাড়িয়া বাঁশি বিশেষ ভ্রমণ

নরহরা ঝরনার খোঁজে তিন নর

দীপক দাস মাথাটা ঠান্ডা হল স্টেশনে পা দিয়ে। স্টেশন থেকে পাহাড় দেখা যাচ্ছে যে! একটু কাছে, অনেকটা দূরে সারি দেওয়া, চুড়ো উঁচু করা পাহাড়। দু’একটা পাহাড় যেন একটু টেকো। চুড়োর কাছে সবুজ কম। ধূসর পাথর বেশি। স্টেশনে নামলে পাহাড়, ঘরের জানলা খুললে পাহাড়, সকালে দাঁত মাজতে মাজতে এলাকা টহল দিতে গেলে পাহাড়— ঘুরতে গেলে এমন […]

প্রকৃতি। কহালগাঁও।
অন্য সফর পাহাড়িয়া বাঁশি বিশেষ ভ্রমণ

স্টেশন পেরিয়ে পাহাড়তলির বাঁকে

সৌগত পাল রোজের চলার পথে স্টেশন পার হতে হয় কত। ট্রেন থামলে স্টেশনের নাম নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে মনে হয়েছিল, কত অদ্ভুত অদ্ভুত স্টেশনের নাম আছে রেল মানচিত্রে। আমার চলার পথে কিছু নমুনা পেয়েছিলাম। যেমন ধমধমিয়া বা তালঝাড়ি। এরকম সারা ভারতের রেল মানচিত্রে কত অজানা স্টেশন ছড়িয়ে আছে। নদীর নামে স্টেশন যেমন আছে তেমনই পুকুর, […]

পুরুলিয়া
পাহাড়িয়া বাঁশি বিশেষ ভ্রমণ

চেমটাঠাকুরানির সংসার আর পাহাড়চুড়োর গান-২

দীপ্তেন্দুবিকাশ জানা তখন অনেকখানি চড়াই পার হয়ে গিয়েছে। শুরু থেকেই কাকুর যত্নে পরামর্শে আমরা এসেছি এতটা পথ। কোথায় পা দিলে বিপদ হবে, কোথায় একটু থিতু হওয়া যাবে, সারাটা পথ সে-বিষয়ে তিনি বলতে বলতে চলেছেন। সঙ্গে আছে নানারকম গল্প। সে-কথা কখনও আমাদের জিজ্ঞাসার উত্তর, কখনও ব্যক্তিগত নানা সুখ-দুঃখের স্বগতোক্তি। কখনও আবার চলতি পথে তিনি সংগ্রহ করে […]

চেমটা পাহাড়।
পাহাড়িয়া বাঁশি বিশেষ ভ্রমণ

চেমটাঠাকুরানির সংসার আর পাহাড়চুড়োর গান-১

দীপ্তেন্দুবিকাশ জানা গন্তব্য যদিও চড়িদা কিন্তু ভ্রমণ শুরু হল আমতা থেকে। সান্ধ্যজলযোগে চরিতের পান্তুয়া গলাধঃকরণ, মেলাই চণ্ডী মন্দিরে দৃষ্টিনিঃক্ষেপণ, পরিশেষে উদ্বেল উদ্বেগে টোটোযানকে স্টেশন অভিমুখে চালনা করার মধ্যে দিয়ে। নাঃ, ফেলুদার মত বিপর্যস্ত হইনি। ট্রেনই তার সময় ফেল করেছে তাই খানিক বিশ্রাম পাওয়া গেল এদিকে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হল। সৌরভ পায়চারি ছেড়ে হাজির হল প্ল্যাটফর্মের […]

পাহাড়িয়া বাঁশি বিশেষ ভ্রমণ

শীতের শিহরণ নিয়ে কিরিবুরু, মেঘাতুবুরু

ইন্দ্রজিৎ সাউ কিরিবুরু, মেঘাতুবুরু নামটা শুনেই একটা ভাল লাগা শুরু হয়ে গিয়েছিল। আর বিশেষ কিছু খোঁজ করিনি। বেরিয়ে পড়েছিলাম। অবশ্য খোঁজ করার অবকাশও ছিল না। গুগল জ্যাঠাকে আঙুলের খোঁচা দিয়েও বিশেষ তথ্য পাইনি। কিরিবুরু অর্থাৎ হাতির জঙ্গল আর মেঘাতাবুরু মেঘের মতো ঘন জঙ্গল। এ ছাড়াও সাতশো পাহারের দেশ। অন্য বছরের মতো এবারও আমরা বেরিয়েছি, ৩১ […]

পুণে।
পাহাড়িয়া বাঁশি বিশেষ ভ্রমণ

বৃষ্টিদিনে কালসুবাই অভয়ারণ্যে 

দীপশেখর দাস শুরুতেই গোলযোগ। আমাদের না বিমানের। উদ্ভিদবিদ্যার এক আলোচনা সভায় যোগ দিতে সদলবলে বেরিয়েছি। গন্তব্য পুণের হরিশচন্দ্রগড়। সকাল সাড়ে ৯টায় উড়ান। যাব মুম্বই। সেখান থেকে চারচাকায় হরিশচন্দ্রগড়। মুম্বই থেকে হরিশচন্দ্রগড় সড়ক পথে প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার। সকলেই সাড়ে ৭টার মধ্যে বিমানবন্দরে হাজির। বাড়ি থেকে বিমানবন্দরের পথ আমারই সবথেকে বেশি। তাই ভোরের যাত্রাপথের ঝঞ্ঝাট এড়াতে আগের […]

অযোধ্যা
পাহাড়িয়া বাঁশি বিশেষ ভ্রমণ

বাইকে খয়রাবেড়া থেকে মুরগুমা, ভায়া অযোধ্যা

ইন্দ্রজিৎ সাউ আমি বাচ্চা বলে আমার কথা তো শুনতেই চাইছ না। একরাশ বিরক্তি আর রাগ নিয়ে কথাগুলো আমার দিকে ছুড়ে দিল বাইচুং। আমরা এখন খয়রাবেড়া ড্যামের সামনে দাঁড়িয়ে। সময় বিকেল পাঁচটার কাছাকাছি। এখানে থাকার জায়গা সেরকম কিছু নেই। ড্যামের পাশেই লোকাল অথরিটির একটা ব্যবস্থা আছে। বেশ আলিশান। যেখানে মাথা পিছু ভাড়া দৈনিক পাঁচ হাজার। এখন […]

ভিস্তা ডোম
পাহাড়িয়া বাঁশি বিশেষ ভ্রমণ

ক্যাম্প…কমলালেবু…বরোলি…ভিস্তা ডোম— শেষ পর্ব

সৌগত পাল তিস্তার জলে রাফটিং করার ইচ্ছে ছিল। সকালে দেখলাম জল কমে গিয়েছে। তাই লুচি তরকারি খেয়ে তিস্তাকে বিদায় জানিয়ে চললাম কার্শিয়াংয়ের দিকে। কার্শিয়াংয়ে সন্তোষদার ছেলে বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করে। ছেলেকে কিছু জিনিসপত্র দিয়ে সন্তোষদা আমাদের নিয়ে চললেন ডেলো পাহাড়ে। আমরা শুধুই বেড়াতে যাচ্ছি। বৈঠক করতে নয়। ডেলো পার্কে ঢোকার জন্য টিকিট করতে হয়। ভিতরে […]