যথা ইচ্ছা তথা যা যত দেখছি ততই অবাক হচ্ছি আমরা। বেশিদূর যেতে হচ্ছে না। কাছাকাছি চোখ-কান খোলা রাখলেই ধরা পড়ছে নানা প্রাণী। আজ সেগুলোরই কয়েকটা। ১। কসাই পাখি গিয়েছিলাম আমতায়। সাত হ্রদের খোঁজে। সেখানেই মিলল একটা পাখি। চুপটি করে বসে রয়েছে বাবলা গাছের ডালে। একটু দূরে। আমরা কথা বলছি, হাসছি। কিন্তু পাখির কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। […]
অন্য সফর
ইতিউতি হাওড়ার জীবজগৎ— দ্বিতীয় পর্ব
যথা ইচ্ছা তথা যা ১। ইস্টিকুটুম বাংলায় বহু পাখির সঙ্গে নানা কিংবদন্তী জড়িয়ে রয়েছে। ইস্টিকুটুম সেরকমই একটি। সারা গা হলুদ, ডানা আর মাথায় কালো রংয়ের পাখিটিকে অনেকে আবার বেনেবউও বলে থাকেন। বাংলার অতি পরিচিত পাখিদের মধ্যে একটি। দুপুরবেলা বা পড়ন্ত বিকেলে পাখিটির ডাক দারুণ লাগে। হাওড়া জেলায় যথেষ্টই দেখা যায়। তবে অনুমান, বছর কুড়ি আগের […]
ইস্টিশন ইস্টিশন— চতুর্থ পর্ব
দীপক দাস জালালসি— মল্লিকদের সেলুন কার সে বহুদিন আগের কথা। তখনও আমাদের ‘যথা ইচ্ছা তথা যা’ গ্রুপ হয়নি। ওয়েবসাইটি তো আরও দূরের কথা। কিন্তু মাঝে মাঝে বাইক নিয়ে বেরোতাম আমরা। একবার বেরিয়েছিলাম আমি আর ইন্দ্র। মাজু পেরিয়ে রাস্তার পাশে একটা বাড়ি দেখে একটু থমকেছিলাম। বাড়ি না বলে প্রাসাদ বলাই ভাল। সেই বাড়ির গঠনরীতিতে চোখ আটকেছিল। […]
ইতিউতি হাওড়ার জীবজগৎ
যথা ইচ্ছা তথা যা ঘুরতে গিয়ে আমরা তেমন জীবজন্তুর সাক্ষাৎ পাইনি। এক জঙ্গলে উড়ন্ত দুধরাজ তার বাহার দেখিয়ে অদৃশ্য হয়েছেন। দল বেঁধে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কুনকি হাতিদের চান করা দেখেছি। একটা শিয়ালের ছুটে যাওয়া। আর একবার প্রকৃতিতে ময়ূরের নাচ। এ ছাড়া এদিক সেদিক নাম না জানা পাখিদের হঠাৎ দর্শন। জঙ্গলে-পাহাড়ে ঘুরি আমরা। কিন্তু প্রাণীরা আমাদের মোটেও […]
ইস্টিশন ইস্টিশন— তৃতীয় পর্ব
দীপক দাস মুন্সিরহাট— আদায় করা স্টেশন প্রাকৃতিক দৃশ্যে সুন্দর মুন্সিরহাট স্টেশনটি। প্ল্যাটফর্মে ওঠার সিঁড়ির উপরে ছাউনি। সিঁড়ির দু’পাশে গাছ আছে বেশ কিছু। স্টেশনে উঠলে এক বিশাল এলাকায় জুড়ে সবুজের সমারোহ। একটু দূরে গাছপালা ঘেরা একটা আশ্রমও রয়েছে। স্টেশনটির সঙ্গে খুব বেশি পরিচয় নেই। কারণ স্টেশনের উপর দিয়ে গিয়েছি বহুবার। কিন্তু নেমেছি মাত্র একবারই। তা-ও রাতে। […]
ইস্টিশন ইস্টিশন— দ্বিতীয় পর্ব
দীপক দাস বড়গাছিয়া— কদমতলের স্টেশনটি শিকড়ে যাও। শিকড়ে। বছর কয়েক আগের গানের ভাষায় বললে, ‘গভীরে যাও, আরও গভীরে যাও…’। নবম শ্রেণি থেকে বোধহয় গভীর সন্ধানী হয়ে পড়েছিল মনটা। নাকি অষ্টম শ্রেণিতে? সেই যে বাংলায় নামকরণের সার্থকতা কোশ্চেন! জায়গার নাম পেলেই তার সার্থকতা খোঁজার চেষ্টা করি। যেমন জানলাম মেদিনীপুরের লোধাশুলি। শুলি কোল ভাষার শব্দ। যার মানে […]
হাটুরে গল্পের খোঁজে সুপারিগোলার হাটে
ফারুক আব্দুল্লাহ ছোটবেলায় গ্রামের বাড়ি গেলে প্রায়ই বায়না ধরতাম দাদুর সঙ্গে হাটে যাব। পাশের গ্রাম শঙ্করপুরে বিকেলে হাট বসত। দাদুও রাজি যেতেন এক কথাতেই। দাদুর হাত ধরে ছোটবেলার সেই হাটে কাটানো সময়গুলো আজও মনে আছে। হাটের গুঞ্জন এখনও কানে ভাসে। খোলা মাঠে বসা ঝুরি, জিলিপি, ঝালবড়ার দোকান থেকে হাওয়ায় ওড়া সুগন্ধ এখনও টের পাই। হাটের […]
পিছু নিয়েছিলেন বিভূতিভূষণ
রবিশঙ্কর দত্ত দু’একটা চ্যাপ্টা, বেশিরভাগই গোল। ময়দার তৈরি কাঠি। চিনির রসে ডুবিয়ে তোলা। এই তো কটকটি। সেই কটকটি। ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে খবরের কাগজের সেই ঠোঙা ভরা কটকটি মুহূর্তে শেষ। একটু আগে গুড়েরটা নিয়ে ঘুরে, হেঁকে গেলেন আরেকজন। সে কাঠির রং আলাদা। লাল বললে বোঝা যাবে না। গেরুয়া মতো। তাতে মিষ্টিটা একটু বেশিই। দশ টাকা শ। […]
জার্সির জোরে তিন জেলায়
যথা ইচ্ছা তথা যা জার্সির একটা আলাদা কেতা আছে। সে তো মাঝে মাঝেই টের পাওয়া যায়। সেই কেতার কারণেই গ্রুপেরও একটা জার্সির দরকার বলে আলোচনা চলছিল কয়েক মাস ধরে। নানা কার্যকারণে তা হয়ে উঠছিল না। কিন্তু শেষপর্যন্ত বাস্তবায়িত হল অনেকদিনের চেষ্টায়। গ্রুপের বড় বড় কাজগুলো উদযাপনের জন্য আমরা সফরে বেরোই। যেমন ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর […]
ঋতু বদলে রূপ বদলায় কাঁসাই হল্ট
নন্দিতা দাস ট্রেন থামে। লোকজন ওঠা-নামাও করে। কিন্তু না আছে প্ল্যাটফর্ম, না আর কোনও কিছু, যা দিয়ে স্টেশন বলে চেনা যায়। আনকোরা লোক ভাবতে বাধ্য, ‘গাড়ি বোধহয় সিগন্যালে আটকাল’। কৌতূহলী হয়ে ট্রেনের জানালা দিয়ে উঁকি দিলে চোখে পড়ে, ফাঁকা ঢেউ খেলানো জমি, একটা তালাবন্ধ টিনের গুমটি (গার্ডবাবুর ভাষায় গ্যাং হাট), পরিত্যক্ত কেবিন অফিস আর একটেরে […]