মুর্শিদাবাদ
ইতিহাস ছুঁয়ে বিশেষ ভ্রমণ

এক অভিযানে ভগীরথপুর জমিদার বাড়িতে

ফারুক আব্দুল্লাহ

ছোটবেলায় দাদুর কাছে জমিদারদের বহু গল্প শুনতাম। দাদুর মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্তের জমিদারদের সাথে বেশ খাতির ছিল। সেই সুবাদে জমিদার বাড়িগুলোতে দাদুর নিত্য যাতায়াতও ছিল। আজও আমার জমিদারদের সম্পর্কে জানার আগ্রহের শেষ নেই। এর জন্য হয়তো ছোটবেলায় দাদুর কাছে শোনা জমিদারদের সেই গল্পগুলোই দায়ী। তখন ক্লাস এইট, সন্ধ্যাবেলায় দাদুর ঘরে বসে গল্প করছি। একথা সেকথা বলতে বলতে হঠাৎ করেই দাদু ডোমকলের ভগীরথপুরের চৌধুরী জমিদারদের কথা তুললেন। আজ আর মনে নেই সেসব গল্প। তবে দাদুর মুখে শোনা ভগীরথপুরের জমিদার বঙ্কুবাবুর নামটি আজও মনে আছে।

এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বহু বছর। জমিদারদের প্রতি আগ্রহ ক্রমশই বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদিয়া ও কলকাতার বহু জমিদার বাড়ি ঘুরে এসেছি। মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি জমিদারদের নিয়ে লিখেছিও। ভগীরথপুর জমিদার বাড়িতেই যাওয়া বাকি থেকে গিয়েছিল।

কারুকাজ।

২০১৮ সালের জুলাই মাসের ১০ তারিখ সকালে হঠাৎই ভগীরথপুর জমিদার বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। কিন্তু একা যেতে ইচ্ছে করছিল না নতুন জায়গায়। একা একা ক্ষেত্র সমীক্ষায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা খুব একটা ভাল নয়। আবার ক্যামেরা নিয়ে গেলেই গ্রামের জনসাধারণের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয়। তাই ভগীরথপুর জমিদার বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছের কথা আমাদের সন্ধ্যাকালীন আড্ডায় উপস্থাপন করতেই দেখি সুমন আর কবি এক কথায় রাজি হয়ে গেল। সুমন উচ্চ মাধমিক পরীক্ষার্থী। লিখতে, ঘুরতেও খুব ভালবাসে। সুমনের লেখা কিছু গল্প ও কবিতা নানান পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কবির আসল নাম নুরজামান শাহ হলেও আমাদের কাছে সে কবিই। কারণ সে খুব ভাল কবিতা লেখে। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের উপযোগী কবিতায় ওর দক্ষতা অস্বীকার করার উপায় নেই। কবিও পশ্চিমবঙ্গের বহু পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত কবিতা লেখে। কবির ইতিহাসের প্রতিও খুব টান। অবশ্য পুরনো জমিদার বাড়িতে আসার পিছনে কবির আরও একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। কবিতা লিখে ক্লান্ত কবি এবার থেকে গল্প লিখতে শুরু করবে ভেবেছে। পুরনো জমিদার বাড়িতে এলে হয়তো সে গল্পের কোন প্লটও পেয়ে যেতে পারে।

নকশা কাটা ছাদ।

ভগীরথপুর ইসলামপুর থেকে খুব দূরে না হলেও যেহেতু কখনই আমরা সেখানে যাইনি তাই ঠিক হল পরের দিন সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ব। প্রথমে বাসে করে ডোমকল। তার পর সেখান থেকে আবার ভগীরথপুর রুটের বাস বা অন্য কোনও গাড়ি ধরে যেতে হয়। ডোমকল থেকে ভগীরথপুর প্রায় সাড়ে ৮ থেকে ৯ কিমির রাস্তা। গাড়িতে প্রায় ২০-২৫ মিনিট মতো লাগে শুনলাম।

আমরা পরের দিন সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লাম। আগের দিন বৃষ্টি হওয়ায় আবহাওয়া বেশ ভাল ছিল সেদিন। আকাশও ছিল খুব পরিষ্কার। ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছতেই দেখি ডোমকল যাওয়ার একটি ফাঁকা বাস দাঁড়িয়ে আছে। সাত-পাঁচ না ভেবে সেই বাসে উঠে পড়ি। যখন ডোমকলে পৌঁছলাম তখন বেলা ১০টা হবে। সেখানে নেমে আবার গাড়ি ধরার কথা। শুনেছিলাম ওই রাস্তায় অল্প হলেও বাস চলে। কিন্তু দুর্ভাগ্য বাসের দেখা পেলাম না। অন্য কোনও গাড়িও পাচ্ছি না। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কেরোসিন চালিত একটি গ্রাম্য যানের খোঁজ পাওয়া গেল। এই যানের গ্রাম্যনাম ‘লছিমন’। গাড়িতে উঠতে গিয়ে দেখি, ভিড়ে ভরা। তিনজন তিন জায়গায় সিট পেলাম কোনও রকমে। তীব্র আওয়াজ করে সেই গাড়ি এগিয়ে চলল। গতি খুবই কম। তা-ও খুব ভাল লাগছিল। চারিদিকে সবুজে মোড়া। তার মধ্যে দিয়েই কালো পিচ ঢালা রাস্তা চলে গিয়েছে। রাস্তায় চলতে চলতেই দু’পাশে বেশ কিছু জনপদ। বাজার সব কিছুই পড়ছিল। সহযাত্রীদের সঙ্গে আড্ডা জমে উঠেছিল। তাঁরা ভগীরথপুর জমিদারদের গল্প শোনাচ্ছিলেন। কথা বলতে বলতে আমরা ভয় পাচ্ছিলাম জমিদার বাড়ি পার করে চলে না যাই। কারণ ভগীরথপুর বেশ বড় গ্রাম। আমার আশঙ্কার কথা সহযাত্রীরা শুনে বললেন, ‘‘আমরা থাকতে আপনাদের কোনও চিন্তা নেই।’’ শুনে বেশ আশ্বস্ত হলাম। আরও কিছুটা রাস্তা পার করতেই এসে পড়লাম ভগীরথপুরের সেই বিখ্যাত চৌধুরী বংশীয় জমিদার বাড়ির সামনে।

প্রাসাদের মতো।

সহযাত্রীদের বিদায় জানিয়ে, ভাড়া মিটিয়ে গাড়ি থেকে নামলাম। নেমেই চোখে পড়ল একটি বিরাট বড় বাড়ি। দেখে মুগ্ধ হলাম। আরও ভাল লাগল বাড়ির দরজার কারুকার্য দেখে। কিন্তু দেখলাম বাড়িতে মানুষ বসবাস করে। দরজার সামনে দাঁড়িয়েই ভাবছিলাম কী ভাবে ভিতরে যাওয়া যাবে। সেই সময়ই এক তরুণী এসে বললেন, এই বাড়িতে তাঁরাই থাকেন। আমরা ভিতরে যেতে পারি, ছবিও তুলতে পারি। একথা শুনতেই ভিতরে প্রবেশ করলাম। মনের মতো ছবি তুলতে শুরু করলাম। ভিতরের অবস্থা খুব খারাপ। তবে দেখেই বোঝা যায়, একটা সময় ছিল যখন এই বাড়ির সৌন্দর্য ছিল দেখার মতো। আজ অবশ্য সবই শেষ।

ভদ্রমহিলা আমাদের সব জানিয়ে দিলেন। কোথায় কোথায় যাব, কোন রাস্তা দিয়ে যাব, সব কিছুই। তাঁর বলে দেওয়া রাস্তায় যেতেই অবাক। আজ অবধি বহু জমিদার বাড়ি দেখেছি। সেখানে যত বড় বাড়িই হোক না কেন মূল জমিদার বাড়ি সাধারণত একটিই হয়। কিন্ত এখানে এসে দেখছি এই গণ্ড গ্রামের ভিতরেও যেন একটি শহর। সর্বত্রই দেখছি ইটের কারুকার্য খচিত পুরনো বাড়ি। সেই সব বাড়ির কয়েকটিতে এখনও মানুষ বসবাস করলেও বাকি বাড়িগুলো কিন্ত জনশূন্য অবস্থায় দীর্ঘ অবহেলা সহ্য করে ধ্বংসের প্রহর গুনছে। সব বাড়িতে প্রবেশ করা সম্ভব হল না বাড়িতে তালা দেওয়া থাকায়। তবে একটি বাড়ির দেওয়ালে দেখলাম একটি প্রতীক আঁকা। অনুমান করলাম, এই প্রতীক হয়তো এই বংশের জমিদারদেরই হবে।

এক পুরনো বাড়ি।

এবার আমরা যাব আরও কিছু পুরনো বাড়ির সন্ধানে। এর মধ্যেই এক প্রবীণের সঙ্গে দেখা হল। তিনি প্রথমে আমাদের দেখে একটু অবাক হয়েছেন। বিস্ময়ের কারণ, এই ভাঙা বাড়ি দেখতে এদিকে তেমন কেউ আসে না। নিজেকে থামিয়ে রাখতে না পেরে বলেই বসলাম গ্রামের ভিতরেও এত পুরনো বাড়ির সমাবেশ দেখে মুগ্ধ হওয়ার কথা। উনি আমার কথা শুনে হেসে বললেন, ‘‘এই দেখেই অবাক হয়ে যাচ্ছেন? এমন আরও অসংখ্য বাড়ি ছিল এখানে। সব বাড়ি ভেঙে বড় বড় লরি বোঝাই করে নিয়ে চলে যাচ্ছে এই বাড়ির বর্তমান বংশধরেরা। এখন যা দেখছেন আর কয়েক বছর পরে এলে তা-ও দেখতে পেতেন না।’’ আমাদের বিদায় জানিয়ে তিনি চলে গেলেন। আমরা এগিয়ে যেতে থাকলাম আরও কিছু ভগ্ন বাড়ির সন্ধানে।

পুরনো ইটের কারুকাজ।

কিছুটা এগোতেই একটি বাড়িতে এলাম। বাড়ির বাইরের দিকে খুব সুন্দর কারুকার্য খচিত বড় বড় পিলার দেওয়া। সেগুলোর অনেকগুলোই ভেঙে পড়েছে। সেই ভগ্নাবশেষের উপরে গজিয়ে উঠেছে জঙ্গল। বাড়ির সামনে ঘাসে ঢাকা খোলা চত্বর। সুমন দেখি সেলফি তুলতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। কবি এই বাড়িতে এসে এক বাইজির গল্পের প্লট পেয়ে গিয়েছে বলে সে আনন্দে আত্মহারা। আমিও ক্যামেরা বের করে বেশ কিছু ছবি তুললাম সেখানে। তার পর আমরা আরও একটি পুরনো বাড়ি দেখতে পেয়ে এগোলাম। বাড়ির সামনের দরজাটা বেশ রাজকীয়। ভিতরে ঢুকতেই দেখলাম জঙ্গলে মোড়া চত্বর। তবে কিছুটা এগিয়ে দেখলাম কিছু ভগ্ন ঘর। সেখানেও কিছু ছবি তুললাম। তার পর বাইরে বেরিয়ে আসতেই নজর পড়ল দূর প্রান্তে। যদিও গাছ গাছালিতে ঢাকা তবুও কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা মনে হল সেই দিকটা। কৌতূহলবশত সেদিকে কিছুটা সামনে এগোতেই দেখি নদী। আসলে নদ। শুনেছিলাম, ভৈরব নদের পাড়েই ভগীরথপুর জমিদার বাড়ি গড়ে উঠেছিল। একবার নদের তীরে যাব। তার আগে এই জমিদার বাড়ির গল্পটা বলে নেওয়া যাক।

ধ্বংসের অপেক্ষায়।

দিল্লির মসনদে তখন বাদশাহ জাহাঙ্গির। বাংলায় তখনও বারো ভুঁইয়াদের দাপট চলছে। যা মোগলদের পক্ষে মেনে নেওয়া খুব কঠিন ছিল। ফলে জাহাঙ্গির তাঁর বাল্যবন্ধু ইসলাম খানকে বাংলার সুবেদার করে পাঠান বারো ভুঁইয়াদের দমন করতে। সুবেদার ইসলাম খান প্রতাপাদিত্যের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী পাঠালেন। তখন বিহারের পটনায় বসবাসকারী সাহু ব্যবসায়ীদের একটি দল প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য নিয়ে সেনাবাহিনীকে অনুসরণ করতে করতে এগোচ্ছিল। সাহু ব্যবসায়ীদের নেতা ছিলেন ভগীরথ সাহু। মোগল বাহিনী পদ্মা ও ভৈরব নদীতে এল। এটিই ছিল গন্তব্যে পৌঁছনোর সবথেকে সুবিধাজনক পথ। ব্যবসায়ীদের দলটি ভৈরব নদ পার হওয়ার সময় একটি অতি মনোরম জনপদে তাঁদের নৌকা এসে পৌঁছল। তাঁরা জনপদটি দেখে এতই মুগ্ধ হন যে কিছু সংখ্যক মানুষ ওই জনপদে থেকে যান। তাঁদের নেতা ভগীরথ সাহুর নাম অনুসারে জনপদটির নাম রাখেন ভগীরথপুর। পরে এই জনপদে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করেন সাহু ব্যবসায়ীরা। জনপদের কাছাকাছি এলাকাগুলোতে ব্যবসা বাণিজ্য শুরু করেন। সাহু পরিবারের অনেকেই বেশ ফুলেফেঁপে ওঠেন। এবং এঁদের মধ্যেই একটি পরিবার পরবর্তী সময়ে ভগীরথপুরে জমিদারির পত্তন করেন। খুব সম্ভবত এই পরিবারের লবণের একচেটিয়া কারবার ছিল। এই পরিবারের জমিদাররা পরবর্তীতে মোগল বাদশাহের কাছে ‘চৌধুরী’ উপাধি লাভ করেন। আজ অবশ্য কিছুই নেই পুরনো জরাজীর্ণ কয়েকটি বাড়ি ছাড়া।

আরও একটি বাড়ির দোতলা।

এবার নদের দিকে একবার যেতে হবে। কিন্তু সামনের দিক দিয়ে তো রাস্তা খুঁজে পাচ্ছি না। ফলে পথ চলতি একজন মানুষ আমাদের দেখিয়ে দিল নদে যাওয়ার পথ। কিছুটা যেতেই দেখা মিলল ভৈরবের। মনে ভেসে এল কয়েক শতাব্দী পুরনো কিছু ঘটনা। এখন দেখতে পেলাম, নদে বহু স্থানীয় মানুষ স্নান করছেন। এদিকে ভরা দুপুরে গরমও পড়েছে বেশ। বেশিক্ষণ আর অপেক্ষা করা গেল না। বাড়ি ফিরতে হবে এবার। নদের ধার থেকে উঁচু পথ দিয়ে উঠে কিছুটা এগোতেই জমিদারদের একটি পুরনো দোতলা বাড়ির দেওয়ালে চোখ পড়ল। যা দেখলাম তাতে অবাক না হয়ে থাকতে পারলাম না। দেখলাম, দোতলার সেই কারুকার্য খচিত দেয়ালে ইংল্যান্ডের মহারানি ভিক্টোরিয়ার মুখাকৃতি বসানো রয়েছে। তার দুই পাশে ট্রাম্পেট হাতে দু’টি উড়ন্ত পরি বসানো। এই দৃশ্য দেখে বুঝলাম এই গণ্ড গ্রামের চৌধুরী বংশীয় জমিদাররাও কিছু বাড়তি সুবিধে পেতে ইংরেজ প্রভুদের তোষামোদ করার কোনও রাস্তাই বাকি রাখেনি। অবশ্য এ বিষয়ে শুধুমাত্র এঁদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। ইংরেজ আমলের প্রায় সব নবাব, রাজা ও জমিদাররা একই পথ অবলম্বন করতেন। বর্তমানেও সেই ব্যবস্থা অন্য পন্থায় চালু আছে বৈকি।

মহারানি ভিক্টোরিয়ার মুখের বাড়ি। পাশে ট্রাম্পেট বাজানো দুই পরি।

অনেক ঘুরলাম। এবার বাড়ি ফিরতেই হবে। সুমন ও কবি অবশ্য জলঙ্গির পদ্মা দেখতে যেতে আগ্রহী। এখান থেকে পদ্মা নদীও খুব একটা দূরে নয়। বললাম যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সব ডোমকলে গিয়ে নেওয়া হবে। আপাতত এখান থেকে আগে বেরোই। আবার সেই রাস্তার এসে দাঁড়ালাম। ঠিক যেখানে আমরা নেমেছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি। অথচ কোনও গাড়ির দেখা নেই। এদিকে তীব্র গরম ও রোদের তাপে আমাদের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। অপেক্ষা করতে করতে হঠাৎ দেখা মিলল কেরোসিন চালিত সেই গ্রাম্য লছিমন গাড়ির। পূর্বের খারাপ অভিজ্ঞতার দরুণ ভেবেছিলাম এই গাড়িতে আর যাব না। কিন্তু এমনিতেই গাড়ি পাচ্ছি না তার ওপর রোদে গরমে বিরক্ত হয়ে আবার সেই গাড়িতেই চেপে বসলাম। গাড়ি ছাড়ল ডোমকলের উদ্দেশ্যে। গাড়ির তীব্র শব্দে কান ধরে যাচ্ছিল আমাদের। তবুও এটা ভেবে শান্তি পাচ্ছিলাম যে গাড়ির ভিতরে অন্তত রোদের তাপ নেই। সেই সঙ্গে বাইরের ফুরফুরে হওয়া গাড়ির ভিতরের পরিবেশকে অনেকটাই মনোরম করে তুলেছিল।

পথ নির্দেশ

কলকাতা থেকে ট্রেনে আসতে হলে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বহরমপুরগামী যে কোনও ট্রেনে বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে বহরমপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে ডোমকলগামী যে কোনও বাস ধরে প্রথমে ডোমকল বাসস্ট্যান্ডে নামতে। বহরমপুর থেকে ডোমকল প্রায় ৩৩ কিমি রাস্তা। যেতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট থেকে প্রায় ২ ঘণ্টা মতো। ডোমকল থেকে বাস, ট্রেকার বা অটোয় করে ভগীরথপুর আরও প্রায় ৯.৬ কিমি রাস্তা। যেতে সময় লাগবে প্রায় ২০-৩০ মিনিট মতো।

কভারের ছবি— সমৃদ্ধির নিদর্শন

ছবি— লেখক

(সমাপ্ত)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *