জঙ্গল যাপন বিশেষ ভ্রমণ

গরাম থান পেরিয়ে ঝিল্লি পাখিরালয়ে

দীপশেখর দাস

বেরিয়ে পড়ার আগের বিকেল। গোধূলিই বলা যায়। দীপকদার হোয়াটসঅ্যাপ, ‘হাউ ইজ দ্য জোশ’? মানে সফর শুরুর আগে সঙ্গীদের মনের অবস্থা জেনে নেওয়ার চেষ্টা। ‘ছেলেটা’র কাছে (লোক বললে ভীষণ রেগে যায়। দাবি, যেহেতু একলা তাই ছেলেটা) বাংলা পড়েছি। গাছপালা নিয়ে এখন দিন কাটালেও বঙ্গানুবাদ যে ভুলিনি সেটা প্রমাণের চেষ্টা করলুম। উত্তর দিলুম, ‘খুব বেশি মহাশয়’। হোয়াটসঅ্যাপের ওপার থেকে উত্তর এল, এটা বলায় তেমন সুবিধে হবে না। বুঝলুম বঙ্গানুবাদ মনে ধরেনি প্রাক্তন স্যারের। আক্ষরিক অনুবাদ হয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অনুবাদের আরেকটি সংস্করণ চলে এল, ‘তুঙ্গে মশাই’। আলোচনা করে ঠিক করে নিলুম, এবারের সফরে এটাই হবে আমাদের ক্যাচলাইন। প্রবল ছোটাছুটির ঘোরাফেরায় ক্যাপ্টেন জিজ্ঞাসা করবে, ‘জোশ কেমন?’ আমরা উত্তর দেব, ‘তুঙ্গে মশাই’।

গ্রামের সৌন্দর্য।

তুঙ্গে আর রইল কোথায় আমাদের জোশ। প্রতি সফরে যা তুঙ্গনাথে থাকে তা নেমে এসে তুঙ্গভদ্রার তীরে আছড়ে পড়ল। ঠিক আমাদের জোশ নয়, ইন্দ্রদার। এবার সপ্তমীর দিনে চার চরকি বেরিয়ে পড়েছিলুম হাতিবাড়ির দিকে। বাংলা-বিহার-ওড়িশা দেখব বলে। এখন আর বিহার নেই। ঝাড়খণ্ড হয়েছে। দীপকদা, ইন্দ্রদা, বাবলা আর আমি। হাতিবাড়িতে বহু কষ্টে ফ্রেন্ডস রিট্রিটের ছাদে মাথা গোঁজার ঠাঁই মিলেছিল (জিয়ানো মাছ আর হাতিবাড়ির রাত)। রিট্রিটের দেখাশোনা করা বাবলুদার জিম্মায় ব্যাগপত্তর রেখে চরতে বেরনো। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে ভাড়া করে আনা গাড়িতেই। চালকদাদা তাপস মণ্ডলকে আর যেতে দিইনি। তাঁর ম্যাজিক গাড়িতেই ঝিল্লি পাখিরালয়টা দেখে আসা ঠিক করা হয়েছি। গোপীবল্লভপুর হয়ে হাতিবাড়িতে আসার সময়ই ঝিল্লি পাখিরালয়ের পথ নির্দেশিত বোর্ড দেখেছিলুম।

গ্রাম জীবন।

বড় সড়ক ছেড়ে পাখিরালয়ের রাস্তার দিকে ঢুকেছি। ইন্দ্র গেল ক্ষেপে। ওকে খেতে দিতেই হবে। এ রাস্তায় দোকানপাট দেখেনি তো হোটেল! খাবার পাই কোথায়? আমাদের সঙ্গে রেশন আছে। মুড়ি, চালভাজা, চানাচুর, কেক। গাড়িতে সময়ে সময়ে দু’টো করে ফ্রুটকেকের প্যাকেট ইন্দ্রদার ব্যাগ থেকে বেরুচ্ছিল। একটা প্যাকেট আমাদের তিনজনকে দিয়ে অন্যটা গোটা নিজেই সাঁটাচ্ছিল। যদিও আমাদের বলেছিল তাপসদাকে কেকের ভাগ দিচ্ছে। কিন্তু আমরা জানতুম তাপসদা মহার্ঘ পান সুপুরির মশলা চিবোচ্ছিলেন সারা রাস্তা। সে মশলা বিসর্জন দিয়ে তিনি কেকের স্বাদে মন দেননি।

ইন্দ্রদা তখন রেগে গিয়ে ক্যাপ্টেনকে ধমকাচ্ছে, ‘‘এই লোকটার সঙ্গে বেরোলে কিছু খাওয়া হয় না।’’ ইন্দ্রদার চেহারা বড়সড়। তার সঙ্গে মানানসই মুখ। রেগে গেলে মুখটা আরও বড় লাগে। ইন্দ্রদার রাগ দেখে দীপকদা হাসছিল। বলার চেষ্টা করল, ‘‘পেলে তো খাব? তোকে কি একা না খাইয়ে রেখেছি? আমরাও তো কেউ খাইনি। তাপসদাও খায়নি।’’ ততক্ষণে আমরা একটা মুদিখানার দোকান দেখে থেমেছি। ইন্দ্রদাকে দোকানের সামনে নিয়ে গিয়ে বলা হয়েছে, যা পছন্দ হয় কিনে খাও। আসলে হয়েছে কী, হাতিবাড়ির গেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার বাবলুদা বলেছিল, ছ’সাত কিলোমিটার দূরে বংশীধরপুর বা বংশীর মোড় নামে কোনও জায়গায় ভাতের হোটেল আছে। তখন বিকেল ৩টে বাজে। সাত-সাত ১৪ কিলোমিটার যেতে আসতে সময় লাগবে। চানটান হয়নি। সঙ্গের রেশনে কিছুক্ষণ চালিয়ে নিয়ে গেস্ট হাউসে ফিরে খাব মৌজ করে। মুড়ির চাট করব। কিন্তু ইন্দ্রদা এত ক্ষেপে যাবে ভাবিনি। আমাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য বহুজন বলেন। এই রকম করে ঘুরি বলে কাউকে সঙ্গে নিই না। সেটা যে ঠিক সিদ্ধান্ত তা আজ হাড়ে হাড়ে বুঝলুম। দলের লোকই বিদ্রোহ করছে। অন্যরা তো অন স্পট জুতোবে!

কেন্দুয়াবাদি গ্রামের গরাম থান। কেন্দুয়া পাট আর রমা পাট।

বলে না অন্ন চিন্তা চমৎকারা? এতক্ষণ খাবারের গোলমালে ঘোরাফেরার বর্ণনা দিতেই ভুলে গিয়েছি। আমরা যেখানে থেমেছি সেই গ্রামটার নাম কেন্দুয়াবাদি। সাতমা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। হাতিবাড়িও সাতমার অধীন। জেলা ঝাড়গ্রাম। প্রচুর গাছপালা ঘেরা গ্রাম। ঢালাই রাস্তার এঁকেবেঁকে চলেছে। চাষবাসও হয়েছে অনেক। যেখানে থামলুম সে জায়গাটা বেশ খোলামেলা। শুদ্ধ গ্রাম্য পরিবেশ। রাস্তার বাঁকে মুদিখানাটা। তার উল্টোদিকে একটা ছোট খেলার মাঠ। খেলার মাঠের শেষের একটা ছোট অংশে অনেকগুলো বড় গাছের জটলা। যেন গম্বুজ আকৃতির একটা ছোট জঙ্গল। বাবলাকে মুদিখানা সামলানোর দায়িত্ব দিয়ে আমি আর দীপকদা জঙ্গলের দিকে পা বাড়ালুম। জঙ্গল থেকে নানা রকমের পাখির ডাক ভেসে আসছে।

জঙ্গলের মধ্যে আমার জন্য এক বিস্ময় অপেক্ষা করছিল। জায়গাটা ছোট। কিন্তু এরই মধ্যে অনেকগুলো বড় আর মাঝারি আকারের গাছ ঘনসন্নিবিষ্টভাবে অবস্থান করছে। গাছের জটলার ফাঁক দিয়ে আসা আলোয় জায়গাটা অন্যরকম লাগছিল। জঙ্গলের মাঝবরাবর অংশটা কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা। ঘেরা অংশে হাতি-ঘোড়া-সাপের মূর্তি রাখা। আর এইসব মূর্তির পাশে ছোট পোড়া মাটির ঘোড়ার স্তূপ। এইরকম ঘোড়ার পুতুল দিয়ে আমাদের গ্রামে গুমোরাজের পুজো হতে দেখেছি। দীপকদা জানাল, এটা গরাম থান। গরাম থান নামের সঙ্গে পরিচিত ছিলুম না। দীপকদা বলল, ‘‘গ্রামের দেবতার থান। গ্রামস্থান থেকে অপভ্রংশে গরাম থান হয়েছে।’’

ঝিল্লির পথে জঙ্গলের রাস্তা।

গরাম থানের ছবি তুলে ফিরে দেখি, ইন্দ্রদা আর বাবলার খাবার কেনা তখনও চলছে। ইন্দ্রদা ঠিক করতে পারছে না কোনটার বদলে কোনটা নেবে। মুদিখানার পাশে একটা বেঞ্চে এক প্রবীণ বসেছিলেন। তাঁর কাছে আমি আর দীপকদা গরাম থানের বিষয়ে জানতে গেলাম। ওই প্রবীণ গ্রামবাসীর নাম প্রদীপ নাথ। তিনি জানালেন, এই গরাম থানে দুই দেব-দেবীর অধিষ্ঠান। একজনের নাম কেন্দুয়া পাট, আরেকজন রমা পাট। দেব দেবীর কোনও মূর্তি নেই। হাতি, ঘোড়া দিয়ে পুজো দেওয়ার রীতি। প্রতি পূর্ণিমা ও সংক্রান্তিতে পুজো হয়। লোকে মানত করেন। মানতে হাতি, ঘোড়ার মাটির মূর্তি দেওয়া হয়। আমরা যেগুলো দেখে এলাম সেগুলো এই মানত মূর্তি। প্রদীপবাবু বললেন, ‘‘গ্রামে যে কোনও পুজো হলে এই থানেও পুজো দেওয়ার নিয়ম।’’ থানের পূজারিকে স্থানীয় ভাষায় দেহরি বলে। তিনি পাশের বাবু ডোমরা গ্রামে থাকেন।

মাটির হাতি, ঘোড়া দেখে প্রশ্ন জেগেছিল, নিশ্চয় আশেপাশে কোথাও এগুলো তৈরি হয়। সেটা কোথায়? প্রদীপবাবু জানালেন, কাছাকাছি করবালিয়ে গ্রামের কুমোরেরা এই মাটির ঘোড়া, হাতি তৈরি করেন। অর্ডার দিলে তাঁরা সিমেন্টের মূর্তিও বানিয়ে দেন। জঙ্গলমহলের গ্রামগুলোয় এরকম বহু গরাম থান রয়েছে। এঁরা সকলেই লৌকিক দেব দেবী। স্থানীয় ভাবেই যাঁদের মাহাত্ম্য প্রচারিত।

রাস্তায় সরকারি বোর্ড।

ইতিহাস জানা হলে টাকা মেটাতে দোকানে ঢুকলুম। এই সফরের ক্যাশিয়ার আমি। দেখলুম সওদা তখনও মেটেনি। ইন্দ্রদার এটা সেটা আবদারে দোকানদারদাদা মুখে মুখে হিসেব করতে না পেরে খাতা-কলম ধরেছেন। বাবলার দু’হাত মুদিখানার সওদায় ভর্তি। ইন্দ্রদার হাতে শুধু কাঁঠালি কলা। দোকানের বাইরেই একটা বড়সড় কলার কাঁদি ঝোলানো ছিল। তারই একটা বড় ছড়া ইন্দ্রদা করায়ত্ত করেছে। মুদিখানার টাকা মিটিয়ে বাবলার বোঝা কমিয়ে গাড়িতে ফিরলুম। বেলা গড়াচ্ছে। পেটপুজোটা তাড়াতাড়ি সেরে নিতে হবে।

গাড়িতে ফিরে আরেক ফ্যাসাদ। কলা ছাড়া ওজনদার খাবার কিছু পাওয়া যায়নি। বিস্কুট-চিড়ে-চিপসের প্যাকেট নেওয়া হয়েছিল। এসবের উপরে কলা চাপিয়ে খিদে চাপা দেওয়া পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু, তাপসদা ওই কলা কিছুতেই খাবেন না। তাঁর এক কথা “এ তো পুজোর কলা। ও খাওয়া যাবে না।’’ কাঁঠালি কলায় পুজো হয় জানি। কিন্তু পুজোয় তো এখনও দেওয়া হয়নি। কিন্তু তাতে তাপসদার যে কেন পেটপুজো করতে অসুবিধা তা বুঝিনি। তাপসদার বিশ্বাসে আঘাত না দিয়ে তাঁর জন্য মুড়ি-চানাচুরের ব্যবস্থা করা হল। ইন্দ্রদার তখনও রাগ পড়েনি। তাপসদা মুড়ি, চানাচুর খেতে খেতে ইন্দ্রদার রাগি রাগি মুখটার দিকে তাকিয়ে ছিলেন।

পাখিরালয়ের প্রবেশদ্বার।

খাওয়াদাওয়া সেরে ঝিল্লি পাখিরালয়ের দিকে এগোনো গেল। কিছুদূর যাওয়ার পরে ডান পাশে একটা ক্যানাল পড়ল। বাড়িঘর রয়েছে। তবে ছড়িয়েছিটিয়ে। রাস্তাটা মনোরম হলেও আরামদায়ক নয়। বর্ষায় রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে বেশ অসমান হয়ে গেছে। ফলে আমরা দোদুল্যমান হয়ে চলেছি। রাস্তার চারপাশের প্রকৃতি সেই কষ্ট লাঘব করেছে। ঘন সবুজ বনানীর মধ্যে দিয়ে কালো পিচের রাস্তা ধরে আমরা চলেছি। যতদূর চোখ যায় শুধুই সবুজ। চোখের আরাম। মনেরও।

দূরে গুটিকয় পাখি দেখা দিয়েছিল।

গরাম স্থানের জায়গা থেকে ২-৩ কিলোমিটার গিয়ে পাখিরালয়ের প্রথম দর্শন পেলুম। একটা বড় জলাশয়। তার অপর পাড়ে সাজানোগোছানো পাখিরালয়ের বাগান। সেখান থেকে আরও কিলোমিটার পাঁচেকের জঙ্গলপথ পেরিয়ে পাখিরালয়ের প্রবেশদ্বারে পৌঁছলুম। জঙ্গল পথটা ভালই লাগল। মাঝে মাঝে একটা দু’টো বাড়ি। কয়েকজন গ্রামবাসী। একটা মাঠ। কুয়োয় জল তুলছেন মেয়েরা। একটা গ্রামের নাম ফুলবাড়িয়া। জঙ্গল ঘেরা গ্রাম। এসব দেখতে দেখতেই পাখিরালয়ের দোড়গোড়ায় পৌঁছেছি। পাখিরালয়ে ঢুকতে মাথাপিছু ১০ টাকা টিকিট লাগে। ভিতরে গিয়ে আশাহত হলুম। একটা সাজানো বিনোদন বাগান মাত্র। সেখানে ছোট ছোট বাহারি গাছ যত্নে লালিত। বড় গাছ রয়েছে কয়েকটা। বড় গাছের ডালগুলোয় ইতিউতি কয়েকটা ছোট পাখি। বাঘ-হরিণের পুতুল, দোলনা ইত্যাদি সাজানো। একটা ওয়াচ টাওয়ার। রাত্রি যাপনের কয়েকটা ঘর। এই ঘরগুলোয় থাকা যায়। সে জন্য বিডিও-র মাধ্যমে বা অনলাইনে বুকিং করতে হয়। জায়গাটা শান্ত। জঙ্গলের মধ্যে। শহরের কোলাহল থেকে দূরে পালিয়ে আসতে গেলে এখান এক দু’রাত থাকলে মন এফ-ফাইভ হয়ে যাবে। মানে রিফ্রেশ।

গাছে ঘেরা জলাশয়।

সাজানো বাগান কখনওই আমাদের পছন্দের নয়। তাই বাগান এড়িয়ে আমরা ঝিলের পাড়ে পৌঁছুলুম। বেশ বড় জলাশয়। ঝিলে পাখি নেই। জানা গেল, শীতে অনেক পাখি আসে। দু’টো রাজহাঁস পাড়ের কাছাকাছি সাঁতার কাটছিল। আমাদের কথাবার্তার শব্দে বিরক্ত হয়ে হাঁকডাক করতে করতে ঝিলের মাঝের দিকে সরে গেল। অজান্তেই ওদের প্রেমে ব্যাঘাত দিয়ে ফেললুম হয়ত! ঝিলের জলে লাল-সাদা শালুকের ভিড়। শালুক পাতার জঙ্গলে একটা সরালের পরিবার বাসা বেঁধেছে দেখতে পেলুম। পরিবারের নতুন সদস্য বা সদস্যা মনের সুখে ঝিলের জলে সাঁতরে বেড়াচ্ছে। ঝিলের পাড়ে একটা বাঁধানো সিঁড়িতে বেশ খানিকক্ষণ বসে রইলুম। মনোরম, শান্ত, শীতল পরিবেশে আমাদের পথের ক্লান্তি দূর হল।

তাপসদা ও আমরা।

বেশ কিছুক্ষণ পর ঝিলের পাড় ছেড়ে উঠলুম। ওয়াচ টাওয়ারটায় চড়লুম। ইন্দ্রদা কেত মেরে ওর দামী ক্যামেরায় আমাকে দিয়ে ছবি তোলাল। আমাদের কারও ছবি তুলল না যদিও। দাদার দামী ক্যামেরার ফ্রেমে আমাদের জায়গা পাওয়া দুষ্কর। বোধহয় ওটা বিশেষ জনের ছবি তোলার জন্য সংরক্ষিত। প্রবেশদ্বারের পাশে পাখিরালয়ের কর্মীদের থাকার জায়গা। পাখিরালয়ে ঢোকার সময়েই ঘরের ভিতর থেকে নানা পাখির ডাক শুনেছিলুম। ফেরার সময় ঘরের মধ্যে গেলুম। বদরি-লাভ বার্ডস-ককটেল-গিরিবাজ পায়রা ইত্যাদি পাখি খাঁচাবন্দি করে রাখা।

ওই পথ ঘুরেই আসতে হয় পাখিরালয়ে।

সূর্য ডুবেছিল। আমরাও রাতের আস্তানার পথে পা বাড়ালুম। পথে আবার ছোট ছোট জীবন। গুলতি হাতে জঙ্গলের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তরুণ, সাইকেল সওয়ার কিশোর। হাতিবাড়ির গেস্ট হাউসের সামনে আমাদের নামিয়ে দিলেন তাপসদা। যাওয়ার সময়ে ইন্দ্রদাকে দেখিয়ে বললেন, ‘‘দাদাকে ভাল করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করুন।’’ সে আর বলতে! আজ রাতে দেশি মুরগি ছাড়া কিছুতেই জিভ সরবে না।

ছবি— ইন্দ্রজিৎ সাউ ও লেখক

(সমাপ্ত)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *