অন্য সফর বিশেষ ভ্রমণ

ছবিতে ভ্রমণ— বাংলার মুখ

অন্য শান্তিনিকেতন

চন্দন মণ্ডল

গ্রামীণ দেওয়ালে স্থানীয় চিত্রকরের সৃষ্টি! গ্রামের নাম আমখই। বীরভূমের বোলপুর থেকে ইলামবাজার যাওয়ার পথে কয়েক কিলোমিটার। শাল-পিয়াল-অর্জুন ঘেরা আদিবাসীদের এই গ্রামেই রয়েছে ফসিল উড পার্ক। পার্ক লাগোয়া এক পরিত্যক্ত চায়ের দোকান এবং বিশ্রামাগার। তারই পাশে এক বাড়ির দেওয়ালে এই চিত্র।

নিত্য জীবনের শিল্প।

শিকড়ের জীবন, শিকড়ের আশ্বাস! শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরিতে প্রকৃতি ভবনের ঠিক পিছনেই এক পরিবারের বাস। বুড়ো এক বটবৃক্ষের নীচে।

প্রকৃতি-বাস।

 

উত্তরের পথে

পিনাকী চক্রবর্তী

জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি। ভোরের আলোয়।

ভোরের ক্রান্তি।

জলপাইগুড়ি যাওয়ার পথে। সরষে ক্ষেত দক্ষিণেও প্রচুর। তবুও কেমন যেন মন জোড়া।

চোখে সরষে।

 

পল্লির পথ ধরে

নন্দিতা দাস

গ্রামের মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে পিচ ঢালা রাস্তা। কিন্তু তাতে নষ্ট হয়নি গ্রামের প্রকৃতি। রাস্তার উপরে ঝুঁকে পড়া গাছপালা, বাঁশবন। একপাশে কুন্তী নদীর শুকনো খাত, আর প্রচুর আমবাগান নিয়ে গ্রামটি যেন বাংলার চিরকালীন পরিচয় নিয়ে অবিকৃত রয়ে গিয়েছে। ও হ্যাঁ, গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের ঝাঁ চকচকে একটি কলেজও রয়েছে। গ্রামের নাম, গান্ধীগ্রাম। হুগলির রাজহাটে।

বাঁশের গুহা।

পাকা রাস্তা থাকলেও নদী পেরনোর সেতু এখনও আদ্যিকালের। নতুনদের সে সেতু পেরতে প্রাণ কাঁপবেই। বাঁশ বেশি মেলে তো! তাই বোধহয় সেতু পাকা করাতে মন নেই।

সেতুটা দুলছিল, সত্যি।

 

চৈতন্য ধামে

সঙ্গীতা বিশ্বাস

কৌলিন্য প্রথা ভাল না খারাপ? জানি না। তবে বিভূতিভূষণের ‘পথের পাঁচালী’তে ‘বল্লালি বালাই’ শব্দটা পড়ে চমকে উঠেছিলাম। কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক সেন বংশের রাজা বল্লাল সেনের ঢিপি।  নবদ্বীপের মায়াপুরে।

বল্লাল সেনের ঢিপি।

চৈতন্যদেবকে কীর্তন বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন চাঁদ কাজী। পরে তিনি হয়ে ওঠেন চৈতন্যদেবের পরম ভক্ত। তাঁর সমাধি রয়েছে নবদ্বীপে।

চাঁদ কাজির সমাধি। মায়াপুর।

 

মাঝের চর

শ্রেয়াঞ্জলী ঘোষ

কল্যাণী। আগে লোকে বলত উপনগরী। এখন আর উপ বলে কিছু নেই। কল্যাণী নিজের মতো করে নগরী হয়ে উঠেছে। ঘিঞ্জি নয়। সাজানো গোছানো। আমার শহর। তবে এই শহরের বাইরে এখনও রয়ে গিয়েছে নিপাট বাংলা। শহর ছুঁয়ে গঙ্গা নদী। নদীর ওপারে হুগলি। ত্রিবেণী থেকে নদী পেরিয়ে মাঝের চর। সেখান থেকে শহর কল্যাণীর পথে যাওয়া একটি পরিবারের সঙ্গে দেখা।

পথে দেখা

নদীমাতৃক সভ্যতা। গঙ্গা রয়েছে নিজের মতো। কিন্তু ওপারে ওই ধোঁয়া ওঠা নলগুলো…কী আর করা যাবে।

আদি আর আধুনিক।

 

বিষ্ণুপুরে একদিন

জয়ন্তী গলুই

মন্দিরের শহর বিষ্ণুপুর। পথের পাশে বাঁকে মন্দির আর মন্দির। এলাকাটার পরিচায়ক দলমাদল কামান। সেই সঙ্গে মল্লরাজ হাম্বীরের তৈরি রাসমঞ্চও।

রাসমঞ্চ।

জোড় বাংলা মন্দির। এমন মন্দির দেখিনি কোনওদিন। সাইনবোর্ডে লেখা, এটা কেষ্ট রায়ের মন্দির নামেও পরিচিত। মন্দিরের গায়ে রামায়ণ, মহাভারত, কৃষ্ণলীলার কাহিনী।

জোড় বাংলা মন্দির।

 

নদীর নাম কুমারী

দেবকুমার দাস

মুকুটমণিপুর। বাঁকুড়া জেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র। এখানে কংসাবতী আর কুমারী নদীর সংযোগস্থলের জায়গাটি অসাধারণ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা যায় নদীর পাড়ে।

সেই মোহনা।

নদীর উল্টোদিকে বাঁধের পাশের জায়গাটিও অতি মনোরম। ভুটভুটি ভ্যানের সওয়ারি হয়ে দেখিছিলাম সেই রূপ।

কাছে জমি। দূরে পাহাড়। 

 

যমধারার জঙ্গলে

বিভাস বাগ

শুশুনিয়া পাহাড় তো বিখ্যাত। ওই পাহাড়ের কাছেই আছে যমধারার জঙ্গল। ওই জঙ্গলের পাহাড়ে আছে রাজা চন্দ্রবর্মার শিলালিপি। যমধারা আসলে একটা পাহাড়ি ঝরনা। ক্ষীণধারার নামটা কেন যে যমধারা, তা জানতে পারিনি।

যমধারা।

শুশুনিয়া পাহাড় থেকে বাসে করে কিছুটা গেলেই বিহারীনাথ। এটাও বাঁকুড়া জেলায়। পাহাড়টি বিহারীনাথের মন্দিরের নামের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। পাহাড়, বিশাল ঝিল, কাশবন, বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করা মানুষজন, সব মিলিয়ে বেশ লেগেছিল জায়গাটা।

বিহারীনাথ পাহাড়।

 

জল জীবন আর পাড়া গাঁ

শুভ বৈদ্য

সুন্দরবন নিয়ে নতুন করে আর কী বলব! কত লেখাই তো হয়েছে। চাক্ষুস করলাম। রায়মঙ্গল নদীতে মিন ধরছেন স্থানীয় মহিলারা। জীবনের ঝুঁকি। তবুও জীবন চলে…চলতেই থাকে…

রায়মঙ্গল নদীতে।

২৪ পরগনার বারুইপুর। পেয়ারার জন্য বিখ্যাত। কিন্তু পল্লি প্রকৃতিও অনন্য। তারই এক ঝলক। গ্রামের নাম হোটর।

হোটর নামে গ্রামটি।

কভারের ছবি— ডায়মন্ড হারবার

ছবি— শুভ বৈদ্য

(সমাপ্ত)

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *