লালবাগ
খাদ্য সফর বিশেষ ভ্রমণ

নবাবি বিলাসিতার সাক্ষী কোহিতুর আম

ফারুক আব্দুল্লাহ আজ নবাব বা নবাবিয়ানার কিছুই নেই। বাংলা-বিহার-ওড়িশার রাজধানী মুর্শিদাবাদের গৌরবও অস্তমিত। তবুও মুর্শিদাবাদকে আজও মানুষ মনে রেখেছে হারানো ইতিহাস ও ঐতিহ্যর জন্য। মুর্শিদাবাদের আরেক সুখ্যাতি আমের জন্যও বটে। বাংলায় নবাবি শাসনের সূচনার বহু পূর্ব থেকেই এখানকার আমের সুখ্যাতি। প্রাক নবাবি মুর্শিদাবাদের আম বলতে চুনাখালি পরগনার আমকেই বোঝাত। নবাবি আমলে নবাবেরা আমের পৃষ্টপোষকতা শুরু […]

রাজবলহাট
ইতিহাস ছুঁয়ে বিশেষ ভ্রমণ

প্রাচীন বাণিজ্য নগরী রাজপুরের মন্দিরে মন্দিরে

দীপক দাস দেব-দেবীর মাহাত্ম্য প্রচারমূলক কাহিনিতে নদী নৌকার যোগ আছে। এই মুহূর্তে দু’টো কাহিনির কথা মনে পড়ছে। কাহিনি দু’টোর মধ্যে তফাৎও রয়েছে। একটি কাহিনি সাহিত্যিক। অন্যটি যথার্থ কিংবদন্তী। মানে লোককথা ও বিশ্বাসে উৎপত্তি। সাহিত্যিক কাহিনিটি সকলে জানেন। সেই যে ভারতচন্দ্র রায়ের ‘সেইখানে খেয়া দেয় ঈশ্বরী পাটনী’, ‘কাঠের সেঁউতি হল সোনার সেঁউতি’— মানে অন্নদামঙ্গল। এই ঘটনার […]

ওড়িশায়।
খাদ্য সফর বিশেষ ভ্রমণ

মিষ্টিপথে বঙ্গ-বিহার ওড়িশায়

দীপক দাস তৈরি করা পথ। প্রয়োজনেরও বলা যাতে পারে। যেমন, বাদশাহি সড়ক বা জগন্নাথ সড়ক। শের শাহের বাদশাহি সড়কের সৃষ্টি-কাহিনি সর্বজনজ্ঞাত। জগন্নাথ সড়ক মেদিনীপুরের দাঁতন থেকে পুরীর মন্দিরে যাওয়ার প্রাচীন পথ। যে পথের বর্তমান নাম ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোড। তিন রাজ্য জুড়ে আমাদের এই মিষ্টিপথ এমনই এক তৈরি করা পথ। আচমকাই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কয়েকটি কার্যকারণ […]

জলবাড়ি।
অন্য সফর বিশেষ ভ্রমণ

নির্জনতার খোঁজে বেলুন ইকো-স্টে

তনয় শীল ভরা বসন্তে প্রকৃতির ডাকে এবারের ভ্রমণে বেড়িয়ে এলাম ‘বেলুন ইকো-স্টে’। বেড়িয়ে এলাম মানে থেকে এলাম। নির্জনতার সঙ্গে গোটা একটা দিন-রাত। জায়গাটা পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহর থেকে কিছুটা দূরে। এলাকার লোকের কাছে এই ইকো-স্টে ‘কাটোয়া জলবাড়ি’ নামে বেশি পরিচিত। সপ্তাহান্তে নির্জনতার খোঁজে বেরিয়েছিলাম তিনবন্ধু। শিবম, অভ্র আর আমি। গত ৫ মার্চ, শনিবার সকাল […]

দুধরাজ
অন্য সফর বিশেষ ভ্রমণ

দুধরাজ দর্শনে দল বেঁধে

দীপক দাস তাকে দেখেছি জয়পুরের জঙ্গলে। কিন্তু সে দেখা, ‘চল চপলার চকিত’ চমক ছিল। তার পর দেখা সমাজ মাধ্যমে। সে দেখা আবার পরশুরামের গল্পের চাটুজ্জেমশাইয়ের মতো। চাটুজ্জেমশাই দূর থেকে মেমসাহেব দেখেছিল বিস্তর। তার পর একদিন ট্রেনের কামরায় দেখা। যাকে বলে এক হাতের তফাতে। সেই দর্শনেই জন্ম নেয় মেমসাহেবকে করা চাটুজ্জেমশাইয়ের বিখ্যাত আশীর্বচন, ‘ঠোঁটের সিঁদুর অক্ষয় […]

খাদ্য সফর বিশেষ ভ্রমণ

জলুদার কচুরি, ইন্ডিয়ানের কালাকাঁদ আর সুইট হোমের রাবড়ি

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যারাকপুর স্টেশন ছেড়ে ব্যারাকপুর-বারাসত রোডে উঠলেই চোখে পড়বে পিচ রাস্তার একটা বড় অংশে কালো পাথর বসানো। ইটের মাপে কাটা। পিছল হয়েছে বাস, অটো রিকশার চাকা আর জুতোর ঘষায়। সে রাস্তায় উঠেই বাঁ হাতে তাকিয়ে গন্ধে গন্ধে পৌঁছতাম দোকানটায়। বয়স অল্প। তবু বায়না কম ছিল বলে বেশি ঘ্যানঘ্যান করতে হত না। ফুলকো ফুলকো হিংয়ের […]

হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিহাস ছুঁয়ে বিশেষ ভ্রমণ

গুলিটায় কবি হেমচন্দ্রের জন্মভিটেয়

দীপক দাস কথাগুলোয় তাচ্ছিল্য ছিল! নাকি ঔদাসীন্য? ঠিক বুঝতে পারছিলাম না আমরা। কথা বলার ঢংয়ে অনেক সময় কথার অর্থ পাল্টে যায়। অলংকার শাস্ত্রে কাকু বক্রোক্তি বলে। আবার অঞ্চল ভিত্তিক উচ্চারণ ভেদেও কথার ভাব বদল হয়। যেমন আমাদের সামনে দাঁড়ানো কর্তাব্যক্তিটি বলছিলেন, ‘‘এ সব কে বুঝবে?’’ এই বুঝবে শব্দটা তিনি এমন ভাবে উচ্চারণ করলেন যে আমরা […]

অযোধ্যা
পাহাড়িয়া বাঁশি বিশেষ ভ্রমণ

বাইকে খয়রাবেড়া থেকে মুরগুমা, ভায়া অযোধ্যা

ইন্দ্রজিৎ সাউ আমি বাচ্চা বলে আমার কথা তো শুনতেই চাইছ না। একরাশ বিরক্তি আর রাগ নিয়ে কথাগুলো আমার দিকে ছুড়ে দিল বাইচুং। আমরা এখন খয়রাবেড়া ড্যামের সামনে দাঁড়িয়ে। সময় বিকেল পাঁচটার কাছাকাছি। এখানে থাকার জায়গা সেরকম কিছু নেই। ড্যামের পাশেই লোকাল অথরিটির একটা ব্যবস্থা আছে। বেশ আলিশান। যেখানে মাথা পিছু ভাড়া দৈনিক পাঁচ হাজার। এখন […]

ট্রেন থেকে তোলা
অন্য সফর বিশেষ ভ্রমণ

রঙ্কিণীদেবীর কিংবদন্তী আর এক স্টেশনের গল্প

দীপক দাস সেবারের সেই ট্রেন সফরের কথা মনে পড়লে দু’টো ছবি ভেসে ওঠে। একটা ছবিতে শুধু সুন্দর…সুন্দর আর সুন্দর। ভূত দেখতে যাওয়ার রোমাঞ্চটা কবেই যেন চাপা দিয়েছে প্রকৃতি। অনন্ত, অপরূপ প্রকৃতি। আরেকটা ছবিতে একটা ফিচেল হাসি। শয়তানির হাসিও বলা যায়। অল্প প্রসারিত হওয়া ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে বেরনো কথাগুলোও মনে পড়ে, ‘বাগালিয়া, কী বাগালিয়া?’ বাগিয়ে নেওয়ার […]

জনাই।
খাদ্য সফর বিশেষ ভ্রমণ

মনোহরার পাশে জনাইয়ের আরও তিন

দীপক দাস মিষ্টি-নামে অনেক কিছু এসে যায়। এ হল মিষ্টিমহলের আনাচেকানাচে ঘোরাঘুরির কিঞ্চিৎ প্রত্যয়। না হলে একটা মিষ্টির গোঁফ কামাতে ৭-৮ বছর লাগে! তা-ও গুপো আর গুঁফোর আধার কার্ডের তথ্যে ভুল থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা। গুপো আর গুঁফো একই দেহে ভিন্ন নাম? নাকি কুল আলাদা? সঠিক জেনে উঠতে পেরেছি, এমন দৃঢ় দাবি করার আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি না। […]