চায়ের দোকান।
অন্য সফর বিশেষ ভ্রমণ

চায়ের দোকানের আত্মীয়স্বজনেরা

কৌশিক কোনার

সবে মাত্র মা দুর্গার আরাধনা শেষ হয়েছে। ঢাকের শব্দ এখনও কানের মধ্যে বাজছে। ঠান্ডা এখনও সে ভাবে পড়েনি। তবে হালকা শীতের আমেজ রয়েছে। এমনই এক সন্ধ্যায় প্রকৃতি খামখেয়ালিপনা শুরু করল। সন্ধ্যায় বেশ ভালই বৃষ্টি হল। ঘণ্টাখানেক ধরে বৃষ্টি ঝরেই চলেছে। কখনও একটু কম বা কখনও বেশি। আমি যথানিয়মে দোকান খুলে বসে আছি।

বৃষ্টির শুরুতেই যারা দোকানের বাইরে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা কেউ বেঞ্চে বসে। কেউ দাঁড়িয়ে ফোন দেখতে ব্যস্ত। কেউ ঠিক মতো জায়গা না পেয়ে ঝাপটা থেকে বাঁচতে এদিক ওদিক করছেন। দোকানে আর নতুন কোনও খদ্দের নেই। যে ক’জন আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁদের প্রয়োজন মিটে গিয়েছে। ক্রেতা না থাকলেও গরম চা প্রচুর আছে। বৃষ্টি কিন্তু ঝরেই চলেছে।

কোনও ক্রেতা না থাকায় আমি একটু উদাসীন হয়ে পড়লাম। বৃষ্টি ভেজা রাস্তার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। দোকানের ল্যাম্পের আলোয় ভেজা রাস্তাটা চকচক করছে। ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ির যাতায়াতের বিরাম নেই। এতক্ষণে পাঠক নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন আমি চায়ের দোকানি। চাওয়ালা। হুগলি জেলার গজার মোড়ে অহল্যাবাঈ রোডের উপরে আমার দোকান। ডানকুনি থেকে গজার মোড়ের দিকে আসতে বাঁ দিকে পড়বে। বন্ধ হয়ে যাওয়া পেট্রোল পাম্পের পাশে। তবে শুধু চাওয়ালা বললে সবটা বলা হয় না। দোকানের নামে ‘টি এণ্ড সপ’ লেখা আছে। ‘সুরজিৎ টি এণ্ড মিল্ক সপ’। ব্যবসায়ী, বাজারওয়ালা, দোকানদারদের একটা সমস্যা, ব্যবসা বন্ধ রেখে তাঁরা কোথায় যেতে পারেন না। আমার তো দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সময়ে কুলিয়ে উঠতে পারি না। তবে ঠাকুর দেখতে বেরোই। নবমী থেকে একাদশী পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখি। অষ্টমীর বিকেলেও বন্ধ থাকতে পারে। বাকি সারা বছর খদ্দের ছাড়ি আর তাঁদের স্বভাব চরিত্র খুঁটিয়ে দেখি। আর ভাবি, কোথাও ঘুরতে গেলে হয়।

কোনও এক বৃষ্টি দিনে।

ওইদিনও যেমন ভাবছিলাম। বৃষ্টি ভেজা রাস্তায় গাড়ির চাকার শব্দ আর বৃষ্টির শব্দ মিলে যাচ্ছিল। ভাবছিলাম কোথায় যাওয়া যায়! এমন সময়ে এক বাইক আরোহী এলেন। জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘ভাই, চা পাওয়া যাবে?’’ ভাবনাটা ছিঁড়ে গেল। একটু অপ্রস্তুত অবস্থায় বললাম, ‘‘হ্যাঁ, আসুন আছে। ভিজে গেছেন পুরো।’’ কথা প্রসঙ্গে জানালেন, অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। বৃষ্টি না থামায় ভিজে ভিজেই ফিরছেন। চা খাওয়ার ইচ্ছে না থাকলেও ভিজে ভিজে বাইক চালানোয় ঠান্ডা লাগছে। তাই হয়তো চা খাওয়ার ইচ্ছে হয়েছে। চায়ের কথা বলে আগে সিগারেট চেয়ে নিলেন। এবং দোকানের সামনে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা ম্যাচিসটি (গ্যাস লাইটার) জ্বালানোর চেষ্টা করলেন। বারবার ব্যর্থ হলেন। হাত ভিজে। সিগারেটের একটা অংশও ভিজে। আমি ম্যাচিসের চাকাটি মুছে জ্বালিয়ে ওঁর সামনে ধরলাম। খুশি হলেন। আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন।

সিগারেট তখনও শেষ হয়নি। উনি উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। আমি ভাবলাম, এবার চা দিতে হবে। জিজ্ঞাসা না করেই এক ভাঁড় চা বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। তাঁর ইতস্তত হয়ে নেওয়া দেখে ভাবলাম, হয়তো চা খেতেন না। আশঙ্কা সত্যি করেই তিনি বললেন, ‘‘চা দিয়ে দিলেন? আচ্ছা দিয়েছেন যখন খেয়ে নিই।’’ চা-সিগারেটের দাম দিতে চেয়েছিলেন। আমি চায়ের দাম নিতে চাইনি। জোর করে দিয়ে চলে গেলেন। যাওয়ার সময়ে হাসলেন। হাসিটা দেখে ভাল লাগল।

দোকানের ভিতর জমেছে আড্ডা।

বাইক আরোহী চলে যাওয়ার পরে চোখ পড়েছিল ম্যাচিসটির উপরে। দুলছে তখন। এই ম্যাচিসটার ব্যবহার কত খদ্দের কত রকম করে করেন। ম্যাচিসটি বেশ পুরনো। সঠিক বয়স বলতে পারব না। তবে আমি ন’বছর দোকানে আছি। ততদিনই একই রকম ভাবে দোকানে দড়ি বাঁধা ঝুলতে দেখেছি। এটা তার আগে থেকেই দোকানে ঝুলছে। দড়িটা ছিঁড়ে গেলে বা নষ্ট হলে পাল্টাতে হয়। গ্যাস পাথর পাল্টাতেও হয়। সারা দিন কত মানুষ আসেন। ব্যবহার করেন। কিন্তু এর ক্ষয় নেই। কত লোক আমার কাছ থেকে নতুন ম্যাচিস কিনে কিছুদিন ব্যবহার করে সারাতে আসেন। নয়তো হারিয়ে ফেলে আবার কেনেন। গল্প করতে করতে ভুলে রেখে আসেন কোথাও। আবার কিনতে হয়। দিন কয়েক আগের ঘটনা। আমারই এক খদ্দের যুবক। দোকানে তাঁর আনাগোনা রোজই। যার কারণে দোকানে তাঁর অবাধ ঘোরাফেরা। রোজ এলে একটা অধিকার জন্মায়। তিনি আমার কাছে সিগারেট চেয়ে এই বারোয়ারি ম্যাচিসটি ব্যবহার না করে দোকানে বিক্রির জন্য রাখা নতুন একটা তুলে দু’একবার ফায়ার করে সিগারেট ধরিয়ে রেখে দেন। এটা কয়েক দিন ধরেই লক্ষ্য করছিলাম। এটা আমার একদম পছন্দ নয়। তাই একদিন ভদ্র ভাবে বুঝিয়ে দিই, এটা যেন তিনি না করেন। দোকানদারেরা বেশি রাগ দেখাতে পারেন না। খদ্দেরই তো সব।

দিনের বেলায় দোকানের সামনে জটলা।

আবার সেই আমিই নতুন ম্যাচিস বাড়িয়ে দিয়ে শিক্ষা পেলাম। আসলে আমার দোকানে একজন আসেন যাকে খদ্দের হিসেবে না দেখে দাদার মতোই ভাবি। তিনিও আমাকে খুব ভালবাসেন। না হলে ১২ কিলোমিটার উজিয়ে আমার দোকানে চা খেতে আসেন! তাঁর আসাটাও অন্যরকম। আসাটা বুঝতে পারি, না দেখেই। গলার আওয়াজে। তিনি করোনা আসার আগে থেকেই দোকানে আসছেন। একটা স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন। দোকানে এসে সেটা ব্যবহার করলেই গন্ধে বুঝতে পারি, দাদা এসেছেন। এসে তিনি এক মুখ হাসি নিয়ে বলেন, ‘‘কৌশিক।’’ তার পর শুরু হয় অন্য কথা। সেদিন তাঁকে চায়ের সঙ্গে সিগারেট দিয়ে নতুন ম্যাচিসটি বাড়িয়ে দিই। কারণ তিনি দোকানের ভিতরে ছিলেন। সেখানে জ্বালানোর মতো কিছু ছিল না। নতুন ম্যাচিসটি নিতে চাননি তিনি। জানিয়েছিলেন, এটা ব্যবহার করবেন না। কারণ এটা বিক্রির জন্য। আমি বলেছিলাম, ‘‘কী হবে? অনেকেই তো করে।’’ তিনি বললেন, ‘‘তাঁরা ভুল করে নিতে পারেন। তুমি আর দিও না। আমি বরং বাইরের ম্যাচিস থেকে ধরিয়ে আসি।’’

এবার এক রাখাল বালকের কথা বলি। আমাদের দোকানে যাঁরা আসেন এবং যাঁদের খুব ভাল লাগে ইনি তাঁদের একজন। বালক নন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক। ৫০-৫৫ বছর বয়স হবে। আপনারা ‘রাখাল-কাকা’ও ভাবতে পারেন। একদিন দেখলাম, তিনি একপ্রকার বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই বাড়ি ফিরছেন। হাতে ছাতা আছে। তবে সে ছাতায় বৃষ্টি আটকাচ্ছে বলে মনে হয় না। এক হাতে ছাতার বাট ধরে আছেন। আরেক হাতে ছাতার ভেঙে পড়া শিকটা। আমি তাঁকে ডাকলাম। জিজ্ঞাসা করলাম, ‘ভিজতে ভিজতে কোথায় বেরিয়েছেন?’’ বললেন, ‘‘পিসির জন্য ওষুধ কিনতে।’’ তিনি বিয়ে করেননি। ওই পিসির কাছেই থাকেন। রোজ বিকেলে যখন দোকান খুলি তখন তিনি আর তাঁর এক রাখাল বন্ধু হলেন আমার প্রথম খদ্দের। তাঁরা রোজ গরু চরাতে আসেন। মাঠের ধারে বসে থাকেন। বারবার উঁকি দিয়ে দেখেন আমি দোকানের দরজা খুললাম কিনা। দরজা খোলা মাত্রই চলে আসেন। দোকানের ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম বা অন্য জিনিসের দাম জিজ্ঞাসা করেন। জানতে চান এসব কী দিয়ে তৈরি। কোনও দিন বিরক্ত হই না তাঁদের কৌতূহলে। কখনও কিছু দিতে চাইলেও নেন না। এমনকি ফ্রিয়ে এক কাপ চা-ও খেতে চান না। খুব সৎ দুই রাখাল-কাকা। যেদিন দেরি করি আসতে সেদিন এসে আমাকে মিষ্টি মিষ্টি কথায় রাগ দেখান। তাঁদের অভিমান আমার খুব ভাল লাগে। ইয়ার্কি করে অনেক কথা বলে, ‘‘এখনও তো বিয়ে করিসনি, তা-ও এত দেরি করছিস! বিয়ে করলে রাত্রিবেলায় দোকান খুলতে আসবি।’’ বা ‘‘তোর মা কি আজ ভাল মন্দ রান্না করেছিল খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলিস।’’ ‘‘আর ঘুম থেকে উঠে এসে দোকান খোলার দরকার কি ছিল? আরেকটু ঘুমিয়ে একেবারে সকালে আসতে পারতিস তো!’’ আরও কত কী যে শুনতে হয় একটু দেরি করলে!

এঁরাই আত্মীয়স্বজন।

ওঁরা খুব বিচক্ষণ। যে দিন টাকা আনেন না ধারে চা খাবেন মনে করেন সেদিন উঁকি মেরে দেখেন কোনও ক্রেতা এল কিনা। বউনি হলে এসে চা খাবেন। তবে ধার পরের দিন ঠিক শোধ দিয়ে দেন। অথচ কত মানুষ ধার নিয়ে আর দোকানের দিকে আসতে চান না। এলেও দিতে চান না। বারবার চাইতে নিজেরও লজ্জা লাগে। ‘রাখাল-বালক’ দু’টি তাঁদের থেকে অনেক ভাল। যেদিন বুঝতে পারি, ডেকে একথা সে কথার পরে এক ভাঁড় চা দিয়ে দিই। ওঁরা বলেন, ‘‘টাকা নেই।’’ আমি বলি, ‘‘কে তোমাদের থেকে চাইল?’’ আমি দিতে হবে না টাকা বললেও ওঁরা ঠিক দাম মিটিয়ে দেন পরে।

বৃষ্টি এখন অনেকটা ধরে গিয়েছে। এমন সময় কাকভেজা হয়ে কতকগুলো ছেলে বাইক থেকে নেমে হন্তদন্ত হয়ে ‘‘কৌশিকদা চা দাও’ বলে যে যার মতো জায়গা দখল করে বসে পড়ে। জনা আষ্টেক ছেলে। টেবিলে বসে গান চালিয়ে দেয়। ছেলেগুলো প্রায়ই আসে। তাই দোকানে অধিকার জমিয়ে ফেলেছে। কখনও আরেকটু আগে আসে। কখনও দোকান বন্ধ করার সময়ে। এসে আবদার রাখার মিষ্টি তাণ্ডব করে। মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে বটে। তবে ওদের ভালও লাগে। ওরা দোকানের ভিতর গান শুনতে শুনতে চা খায়, গল্প করে। যুবকদের বেশির ভাগ দোকানের ভিতরেই ঢোকে। এতে সুবিধেই হয়। বাইরে বয়স্করা থাকেন। তা ছাড়া লরি, বাসের রানিং খদ্দেররাও থাকেন। লোকাল খদ্দেরদের ভিতরের দিকে আগ্রহ থাকে। ৮-১০ জন ছেলেকে একসঙ্গে দেখলে আগ্রহ তো হবেই। এদের হট্টগোল মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে। কিন্তু বেশি বিরক্ত লাগে কাকা-জেঠুর বয়সিরা রাজনীতির আলোচনা করে পরিবেশ উত্তপ্ত করেন। বেশি সমস্যার হল, আমাকে পক্ষ নেওয়ার জন্য বলে, ‘‘ভাইপো, তুই বল’’। দোকানে কেউ অপরিচিত এলেও তাঁদের সামনে এমন হাত-পা নেড়ে, চোখ ঠেলে নিজেদের বক্তব্যের জোর প্রমাণের চেষ্টা করে। অনেকে এড়িয়ে যান। কেউ হ্যাঁ-হুঁ করে ছেড়ে দেন। আমি কোনও পক্ষ নিই না।

নানা রঙের আলো আর ছায়ার মতো মায়াময় খদ্দেরদের দল।

তবে যত রকম মানুষ আসে সব রকম আলোচনাই শুনতে পাই। একদল আসেন তাঁরা দোকানের বাইরে বা ভিতরে বসেন না। চা নিয়ে দোকানের পাশে চলে যান। সেখানেই আলোচনা চলে। তবে তাঁদের দু’একটা কথা ঠিক কানে এসে পৌঁছয়। এদের কাজ বিভিন্ন লোকের হাঁড়ির খবর রাখা। তা নিয়ে আলোচনা।

বৃষ্টি পুরোপুরি ধরে গিয়েছে। এবার দোকান বন্ধ করার পালা। সব মাল গোছাতে হবে তাই দোকান বন্ধের সময়ে বেশি বিরক্ত লাগে। অথচ এই সব মালপত্র দোকান খোলার সময়ে সাজাতে বেশ লাগে। বন্ধের সময়ে মনে হয়, সব মালপত্র একসঙ্গে ধরে ভরে দিতে পারলে বেশ হত। কিন্তু তা হয় না। সব জিনিস একটা একটা করে গুছিয়ে না রাখলে পরের দিন সব বার করে সাজাতে অসুবিধা হবে। গোছাব বললেই কি গোছানো যায়! বন্ধ করার সময়ে খদ্দেরদের আবদার মেটাতে মেটাতে দেরি হয়ে যায় অনেকটা। অনেক সময় তো চাবি দিতে দিতে মনে হয়, কেউ দেখে না ফেলে। তবে আজ দোকানে বেশি কেউ আসেনি। বৃষ্টির জন্যই মনে হয়।

দোকান গোছাতে গোছাতে একটু ঘুরতে যাওয়ার কথা মনে হচ্ছে। দু’চারদিন ছুটি নিয়ে কোনও জঙ্গল বা পাহাড়ি এলাকায় যদি ঘুরে আসা যায়। পুরুলিয়া যাওয়ার কথাও মনে হচ্ছিল। গ্রাম, পলাশ ফুল। বাইক নিয়েই একদিন বেরিয়ে যাব ভাবছি।

ভাবতে ভাবতেই দোকান বন্ধ করে দিলাম। কাল আবার সকালে খুলতে হবে।

ছবি— লেখক ও অর্পণ ঘোষ

(সমাপ্ত)

4 thoughts on “চায়ের দোকানের আত্মীয়স্বজনেরা

  1. মন ছুঁয়ে গেল। দুর্দান্ত লেখা। কৌশিকবাবু আরও লিখুন।

  2. রোজ আসলে অধিকার জন্মায় ❤️ কথাটা ছুঁয়ে গেলো,
    খুব সুন্দর লাগলো 👍

    1. হ্যাঁ । অধিকার জন্মায় বলেই তাঁরা অন্য কোথাও গিয়ে সন্তুষ্ট হয়না , নিজের মতো ভাবতে পারেনা এমন কথা তাঁদের মুখেই শুনি। অনেক মানুষ আসেন যাঁরা দোকানের সামনে এসে দাঁড়ালে বেশ ভালো লাগে । এমনকি কিছু নেবার না থাকলেও ,এসে সামনে দাঁড়িয়ে ২-১ টা কথা বলে আবার চলে যান । অনেকে হয়তো প্রয়োজন না থাকলেও কিছু নিয়ে যান , এমনি চলে যাবেন ভেবে। সেগুলো বুঝি , এটা অন্য রখম প্রাপ্তি ঠিক বলে বোঝানো যাবে না ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *