ডঃ শ্রাবনী চ্যাটার্জি বর্ষায় সহ্যাদ্রি সত্যিই সুন্দর। কী যে তার রূপ তখন সে যে না দেখেছে তাকে বলে বোঝানো মুশকিল। একে আমরা বাঙালিরা পাহাড় বললেই সটান হিমালয় পাড়ি দিই। অন্য কোনও পাহাড়কে হিসেবের মধ্যেই ধরি না। আমিও সেই দলেই ছিলাম। সবেমাত্র দু’টি বছর হল বৃষ্টিভেজা সহ্যাদ্রিকে দেখেছি আর দেখে তার প্রেমেও পড়েছি। ট্রয় ট্রেনে যেতে […]
Author: jathatatha
বিদ্যাসাগরের পৈতৃক ভিটে হুগলির বনমালিপুরে
দীপক দাস বীরসিংহের সিংহপুরুষ তিনি। আমরা ছোটবেলা থেকে পড়ে আসছি। আর বীরসিংহ গ্রামটি মেদিনীপুরে। জেলা ভাগের পরে এখন পশ্চিম মেদিনীপুরে। কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পারিবারিক শিকড় আসলে বনমালিপুরে। এ গ্রাম আবার হুগলি জেলায়। কোথায় যেন পড়েছিলাম। তার পর খোঁজখবর। সে বছর পাঁচেক আগের ঘটনা। স্মৃতি থেকে মুছেও গিয়েছিল বিদ্যাসাগরের পৈতৃক ভিটে। মাস ছয়েক আগে হঠাৎ ইন্দ্রজিৎ […]
কুমোরপাড়ার গল্পস্বল্প— কালো কলসির পাড়া
দীপক দাস খুব সম্ভবত লালুপ্রসাদ যাদব তখন রেলমন্ত্রী। তাঁর রেলমন্ত্রক একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। রেলের প্রতিটি স্টেশনে চায়ের দোকানগুলোয় মাটির ভাঁড়ে চা বিক্রি করতে হবে। এটা ২০০৪ সালের ঘটনা। লালুপ্রসাদ সফল হননি। প্লাস্টিকের কাপেই চা দেওয়া চলত রেলের জায়গার চায়ের স্টলে। স্টেশনে স্টেশনে ‘চা গ্রম’ হেঁকে বেড়ানো চাওয়ালারাও প্লাস্টিকের কাপই ব্যবহার করতেন। লালুপ্রসাদের পরে আবার চেষ্টা […]
কুমোরপাড়ার গল্পস্বল্প— রানিপুতুলের কাহিনি
দীপক দাস পাড়ায় ঢোকার মুখে চোখে পড়ে পণটা। গোলাকার উনুনের মতো। কিন্তু বিশাল। কুমোরপাড়া বোঝা যায় যে কয়েকটা চিহ্ন দিয়ে পণ তার অন্যতম। এতেই কুম্ভকারদের তৈরি মাটির জিনিসপত্র পোড়ানো হয়। পাড়ায় ঢুকতেই পণ দেখতে পেয়ে ভালই লাগল। তার মানে মাটির কাজ হয় এখনও। হাওড়া জেলার কুমোরপাড়াগুলো ঘোরার ইচ্ছে হয়েছিল একবার। সেই সূত্রেই জগৎবল্লভপুর ব্লকের নরেন্দ্রপুরে […]
মহামারিতে জনশূন্য জনপদ আর মসজিদ-দরগার খোঁজে
ফারুক আবদুল্লাহ ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের কথা। একটি জার্নালে মুর্শিদাবাদের কিছু বিস্মৃতপ্রায় মসজিদ নিয়ে লেখার জন্য পুরনো নথিপত্র ঘাঁটাঘাটি করছি। জেলার পুরনো জনপদগুলি খোঁজার জন্য। মনে হয়েছিল পুরনো জনপদের খোঁজ পেলে পুরনো মসজিদের সন্ধানও পেয়ে যেতে পারি। একদিন মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ার ঘাঁটতে গিয়ে ‘চুনাখালি’ নামের এক পুরনো জনপদের খোঁজ পাই। চুনাখালি আমার বেশ পরিচিত এলাকা […]
মুররাবুরুর জঙ্গলা পাথর তাড়িয়ে ফিরছিল
সৌরভ দাস একটা শ্যাওলারঙা টি-শার্ট আর নেভি ব্লু জিন্স পরে পেরিয়ে যাচ্ছিলাম শালের জঙ্গল। ইতিউতি পিয়াল-মহুয়া ও পলাশের শাখা প্রশাখার বিস্তার। মাটির রং লাল। রুক্ষ্ম কাঁকুড়ে। মালভূমির ঢালুতলের উতরাইয়ের রাস্তা। পিছনে পাখিপাহাড়। ওই রেঞ্জেরই নিম্নতলে মুররাবুরুর জঙ্গল। মার্চের মাঝামাঝি, বেলা আড়াইটে। ঘাড়ে, কপালে ঘাম ফুটে উঠছিল। ফলে টি-শার্টটাও যাচ্ছিল ভিজে। কিন্তু ঘামের গন্ধ ছাপিয়ে উঠছিল […]
জনপ্রিয় ধুসকা…দেশির জন্য দেড় কিমি
দীপক দাস ‘‘কাঁচা বাদাম সহ্য করার মতো ক্ষমতা আমার নেই।’’ কথাটা শুনে ধাক্কা লাগল। ইন্দ্র বললে মানা যেত। ছেলে খাই-খাই করে বটে। কিন্তু সহ্যশক্তি কম। প্রমাণ পেয়েছি ভাল মতোই। কিন্তু এখন বলছে কে! আমাদের ছোটা ডন। মানে বাবলা। ও তখনও মাঝে মাঝে মাঠে যেত। ক্লাবের হয়ে ফুটবলও খেলত। বয়সও কম। বাদামের চাটনি হজম করতে পারবে […]
শিলাবতী সঙ্গমে চার বাইক আরোহী
দীপক দাস ফিরে যাব! মিষ্টি পেয়ে এবং খেয়েই ফিরে যাব? মেনে নিতে পারছিল না দলের কেউই। যদিও বাঙালির শেষ পাতেই মিষ্টি পড়ে। মিষ্টি সমাপ্তি। কিন্তু এখনও অনেকটা সময় আছে। এলাকাটা একটু ঘুরে দেখা যেতেই পারে। সিদ্ধান্ত হতেই বাইকের চাকা ঘুরল আবার। কাছাকাছি এলাকায় বন্দর নামে একটা জায়গা আছে। ঠিক হল, আমাদের বন্দরের কাল হবে শুরু। […]
ইতিউতি হাওড়ার জীবজগৎ— দশম পর্ব
যথা ইচ্ছা তথা যা নানা পাখি দেখা গিয়েছে হাওড়ার বিভিন্ন গ্রামের এদিক সেদিকে। ছবি তোলা হয়েছে টুকটাক। কিন্তু সেসব সাজানো হয়নি। এই সময়ে প্রকৃতি আর মিষ্টি মগ্ন হয়ে পড়েছিলাম আমরা, যথা ইচ্ছা তথা যা’ পরিবারের সদস্যরা। জীবজগতের দিকে তাকানো হয়নি তেমন। আজ আবার হাজির আমরা প্রকৃতির সুন্দর কিছু উপহার নিয়ে। ১। ছোট বসন্তবৌরি দুপুরে হঠাৎ […]
৭০০ সিঁড়ির হুড্রু জলপ্রপাতে
দীপক দাস প্রতিটা ধাপে পা ফেলছি আর গুরুদেবের কথা মনে পড়ছে। হে রসরাজ, তোমার এ কী রসিকতা! চুড়োয় ওঠা কেন উচিত নয় তার ব্যাখ্যান করেছ। কিন্তু নামার বিষয় নিয়ে কোনও বাণী দাওনি কেন? নামাটাও খুব কষ্টের। যারা ওঠে তাদের নামতে হয়। যারা নামে তাদের কষ্ট কম নয়। কষ্টটা বেশ বুঝতে পারছিলাম হুড্রু জলপ্রপাত দেখতে গিয়ে। […]