দীপক দাস ছোটবেলায় শুনেছিলুম গ্রামের নামটা। বহুদিন আগে একবার কাজের সূত্রে গ্রামের উপর দিয়ে গিয়েছিলুম। এই সেদিন, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর ২৯ তারিখে, ‘যথা ইচ্ছা তথা যা’ গ্রুপের উদ্যানভোজনে গিয়ে চাক্ষুস করলুম। গ্রামের নাম ছোট কলকাতা। হাওড়া জেলার পশ্চিমদিকে দামোদর নদের তীরে অবস্থিত একটি সমৃদ্ধ জনপদ রসপুর। সেই জনপদেরই একটি গ্রাম ছোট কলকাতা। আগে বলা হতো […]
Author: jathatatha
পাণ্ডুয়ার মণিমালা
দীপক দাস ভারতচন্দ্রের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় মাধ্যমিকে পড়ার সময়। সেই অমর পঙক্তি, ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ দিয়ে। ‘অন্নপূর্ণা ও ঈশ্বরী পাটনী’। ‘অন্নদামঙ্গল’-এর কাব্যাংশ। পরে উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে আবার দেখা। গোটা পনেরো নম্বরের সেই ইতিহাস শিক্ষা। সে বছরের উচ্চমাধ্যমিকে রায়গুণাকরের দাম বেশি ছিল না। ‘টীকা লিখ’র সাজেশনে স্থান পেয়েছিলেন। ফলে বেশি পড়া […]
কেকার কথা শোনে
দীপক দাস কানে নয়। চোখে এসেছিল কথাটা। সে অনেক বছর আগের কথা। এক খবরের কাগজে বাচ্চাদের পাতায় বেরিয়েছিল লেখাটা। আমাদের কাছেপিঠে কোথায় যেন ময়ূর পাওয়া যায়। চিড়িয়াখানার ঘেরাটোপের বাসিন্দা নয় তারা। একেবারে ‘সোনার কেল্লা’র রাজস্থানের মতো। রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই লেখার শিরোনামটিও ছিল জবরদস্ত— ‘দেখ তো, চালে ময়ূর বসল কি না’। কী কাণ্ড! সেখানে তিনটি […]
হাম্পতা পাস ট্রেক
দীপাঞ্জন মাহাত সকাল ৯টার এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটা রানওয়ে থেকে টুক করে ঝাঁপ দিয়ে হাওয়ায় ভাসতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছিল। একটাই কথা মাথায় এসেছিল, যাক, এবার তাহলে সত্যি সত্যি রওনা হলাম! আসলে যতবার বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাব বলে ঠিক করেছি। ভেস্তে গিয়েছে। কখনও কারও দিদির বিয়ে, কখনও কারও অফিসে ছুটি মেলেনি। আবার কখনও তো বন্ধুর দাদাকে […]
এ সবই এখনও ঘটে
ঈশানী দত্ত রায় প্রথম যখন এসেছিলাম তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। লর্ড সিনহা বাড়ির ছেলে নিজের দুই শিশু সন্তানকে, অভিযোগ, পুড়িয়ে মেরে সংবাদ শিরোনামে। সৈকতাবাস, তার সামনে চিলড্রেন পার্ক, সৈকতাবাসে মোগলাই পরোটা ছিল বিলাসিতা। তার পরেও এসেছি, তখন ক্লাস ইলেভেন। সমুদ্রের ধারের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে কানে এল, ‘‘আপনারা কেমন বাবা-মা? বাচ্চা পিছনে পড়ে আছে, খেয়াল নেই?’’ […]
খোয়া গেলাম খোয়া মান্ডিতে
সৌগত পাল তিন ঘণ্টা লেট! একবার ইন্দ্রদার দিকে চাইলাম। তিনি ফোনে ব্যস্ত। দাবার চাল যেমন পরপর কয়েকটা ভেবে রাখতে হয় সেরকম বেশ অনেকগুলো ব্যাপার চিন্তা করে নিলাম। তারপর দুঃসংবাদটা দিলাম ইন্দ্রবাবুকে। শুনেই ওর মুখ দিয়ে আর্তনাদের মতো বেরোল, ‘রাতে কি খাবো?’ শুনে আমারও পেটে হাত। রাতের খাবার তো বর্ধমানে। গোড়া থেকেই ব্যাপারটা বলি। আমি আর […]
প্রবাসে পরমাদ
স্বরূপ দে বহু প্রতীক্ষিত “ঘরে ফেরার” সময় প্রায় হয়ে এল। তাই হঠাৎ করে আজ মনে হল এখানে আসা ইস্তক যে অদ্ভুৎ কিছু রীতিনীতি, অভ্যাস বা ঘটনা দেখেছি সেগুলি ফেসবুক-বন্দি করার আইডিয়াটা মন্দ নয়। এক — খাদ্যাভাস। আমি কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছিলাম ২৪শে জুলাই, ২০১৫ তারিখে। অন্যান্য ব্যাপারে যেমন তেমন, টাইমের ব্যাপারে আমেরিকা ভারতের থেকে প্রায় […]
গ্রুপ থেকে ওয়েব সফর
দু’বছর আগে। ২০১৫ সালের দুগ্গাপুজো। গ্রুপের প্রথম সফর, ভালকি মাচান। ফেসবুকে শুরু হয়েছিল আমাদের অভিযান। তারপর কত অভিযান। কত গ্রুপ বন্ধু। আর সেই বন্ধুদের কত কত ভাল লেখা। ২০১৭ সালের ১ মে। আবার জঙ্গল। এবার বাঁকুড়ার জয়পুর। উপলক্ষ অভিযান। কিন্তু লক্ষ্য গ্রুপের পরিসর আরও বড় করা। শ্রমিক দিবসে গ্রুপ থেকে আমরা পৌঁছলাম ওয়েবসাইটে। একই নাম […]
স্মৃতির শান্তিনিকেতনে
ঈশানী দত্ত রায় শান্তিনিকেতনে আমার প্রথম যাওয়া ছোট্টবেলায়। স্কুলে ভর্তি হইনি তখনও। বাবা-মা এবং দিদির সঙ্গে উঠেছিলাম ট্যুরিস্ট লজে। ট্যুরিস্ট লজের কথা বলছি এই জন্য যে শান্তিনিকেতনে কোথায় থাকছি, তার সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে অনেক কিছু। তখন সত্তরের দশক। নকশাল আন্দোলন চলছে। ট্যুরিস্ট লজে উঠেছিলেন এক ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁর প্রহরার জন্য অন্তত তিন জন পুলিশকর্মী থাকতেন সবসময়। […]
আফাক বা ফাওয়াদ এবং কাশ্মীর
শতাব্দী আধিকারী দোকা দোকা শিলং যাওয়ার পর আত্মবিশ্বাসের ইয়া বড় বড় পাখনা গজাল। ভাবলাম, এবার থেকে যেদিকে দু’চোখ যাবে বাক্স প্যাটরা গুছিয়ে চলে যাবো। কিন্তু স্রেফ দু’চোখ চাইলেই তো হল না। ছুটি ফ্যাক্টার, মানি ফ্যাক্টার এসব তো রয়েছেই। তবে আসলে কোনও ফ্যাক্টরই নয়। ইচ্ছেটাই হল গিয়ে মোদ্দা কতা। ২০১৫ বছর আর গোটা ১৪টা সিএল হাতে […]