অন্য সফর বিশেষ ভ্রমণ

ছবিতে ভ্রমণ— ভিনরাজ্য

রাজকুমার দেখা দিয়েছিলেন

সোমা ঘোষ

সপ্তাহান্তের ছুটি কাটানোর প্রিয় জায়গা হল, বন্দিপুর টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট। অপূর্ব প্রকৃতি আর বন্যপ্রাণ। থাকি বেঙ্গালুরু। সেখান থেকে দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার। ঘণ্টাপাঁচেক লাগে। তা-ও বার ৫০ হানা দিয়েছি জঙ্গলে। বর আর কন্যাকে নিয়ে সোজা হাজির হই। এবারই প্রথম দেখা হল প্রিন্সের সঙ্গে। সত্যিই রাজকুমার। এই বাঘ-বনের সেলেব্রিটি বাঘ। সম্প্রতি মারা গিয়েছে। জঙ্গলের ভিতর থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। প্রিন্স দর্শনের স্মৃতি আমাদের ক্যামেরায়।

বন্দিপুরের প্রিন্স।

সবুজ জঙ্গলের বুক চিরে চলে গিয়েছে পিচ ঢালা রাস্তা। সোজা উটি পর্যন্ত। দু’ধারের প্রাকৃতিক দৃশ্য থেকে চোখ ফেরানো যায় না।

মনোমোহিনী।

দিল্লি থেকে পঞ্জাব

গৌতম কাঁড়ার

প্রবাসী বাঙালি আমি। থাকি দিল্লিতে। দিল্লির দর্শনীয় স্থানগুলোয় অনেকবার ঘুরেছি। কিছুদিন আগে এক দাদা এসেছিল গ্রাম থেকে। তাকে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে আবার দেখা হুমায়ুনের সমাধি। দ্বিতীয় মুঘল সম্রাটের এই সমাধি অবস্থিত নিজামুদ্দিন এলাকায়। পুরানা কিলার কাছেই।

হুমায়ুনের সমাধি। মুঘল স্থাপত্যের অনন্য নির্দশন।

দাদাকে নিয়েই গিয়েছিলাম পঞ্জাব। অমৃতসরে দেখলাম দর্শনীয় অনেক কিছু। সঙ্গের ছবিটা গোবিন্দগড় কেল্লার। শিখ গুরু গোবিন্দ সিংহের নামে এই দুর্গের নামকরণ। পঞ্জাব কেশরী রঞ্জিত সিংহ গোবিন্দের নামে দুর্গের নামকরণ করেন। দুর্গে রয়েছে পাঁচটি কামান। তার মধ্যে জমজমা কামান দু’টি বেশি খ্যাত।

গোবিন্দগড় দুর্গ।

 

পাহাড় থেকে হ্রদে

শ্রেয়া মালিক

এখন ছত্তীসগঢ়ের আবাসিক। ছুটির দিনে বেরিয়ে পড়া গিয়েছিল একদিন। গিয়েছিলাম মৈনপাট নামে একটা জায়গায়। সরগুজা জেলার এই জায়গাটা ছত্তীসগঢ়ের সিমলা নামে পরিচিত। নামী পর্যটন ক্ষেত্র। হোটেল, রেস্তোরাঁ, গেস্ট হাউস রয়েছে। পাহাড়ের অনেকটা ওপরের গ্রামের পরিবেশ অসাধারণ। সামান্য রাস্তার দু’পাশের ছবিই কী মনোরম!

অন্যরকম সৌন্দর্য।

অচেনা এক হ্রদের সৌন্দর্যে মুগ্ধ দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম। মধ্যপ্রদেশে গিয়েছিলাম। খাজুরাহো যাওয়ার পথে পড়েছিল হ্রদটি।

 

খাজুরাহ যাওয়ার পথে।

রাবাংলার স্মৃতি

অনুমিতা কর চৌধুরী

সিকিম নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কত যুগ ধরে কত কিছু লেখা আর ছবি ছাপা হয়েছে। আমরা সপরিবারে ছুটি কাটিয়েছি রাবাংলায়। সৌন্দর্য ভোলার নয়।

মেঘ-পাহাড়-জঙ্গলের মিলমিশ।

ছিলাম মাউন্ট নরসিং ভিলেজ রিসর্টে। সে-ও কী কম সুন্দর!

নরসিং রিসর্ট।

ঝাড়খণ্ডের ঘাট সেকশন

সৌগত পাল

ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল, পাহাড়ের সৌন্দর্য অন্যরকম মন কাড়া। নিয়মিত যাতায়াত করতে হয় ঝাড়খণ্ডের মধ্যে দিয়ে। চোখ ফেরানো যায় না। প্রথম ছবিটা পারশনাথ রেলস্টেশনের কাছে তোলা। আসানসোল-গয়া সেকশনের এই স্টেশনটির চারপাশ দেখলে মুগ্ধ হতেই হয়। ছবিতে পারশনাথ বা শিখর পাহাড় আর মেঘের খেলা।

পারশনাথ পাহাড়।

গুরপা ও গঝন্ডি নামক স্টেশনের মাঝে পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা অসামান্য প্রকৃতির একটু অংশ । রেলের পরিভাষায় এটি ঘাট সেকশন নামে পরিচিত।

ঘাট সেকশনের জঙ্গলের ঘনঘটা।

আন্দামান আন্দামান

সুব্রত চক্রবর্তী

আন্দামান নিয়ে কিছু বলার নেই। শুধুই দেখার। যেমন নীচের ছবিটা।

হ্যাভলক দ্বীপ।

ঈশ্বরের আপন দেশ…কেরল। জলে, সবুজে অনন্য। যেন ‘ঈশ্বরের রুমাল’।

কেরলের মুন্নার।

কভারের ছবি— বীরভদ্র স্বামী মন্দির, লেপক্ষী, অনন্তপুরম, কর্নাটক।

ছবি- সোমা ঘোষ

(সমাপ্ত)

One thought on “ছবিতে ভ্রমণ— ভিনরাজ্য

Leave a Reply to Subrata Chakraborty Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *