দীপক দাস অটো থেকে নেমে ঝিলিমিলি যাওয়ার বাস পেয়ে গেলাম। শুনতে চামচ থেকে সসপ্যানে মাখনের টুকরো পড়ে হড়কানোর মতো মসৃণ মনে হল তো? কিন্তু এবারের সফর মোটেও সহজ ছিল না। পদে পদে বাধা। বৈষ্ণব পদাবলীতে রাধার অভিসারের যাওয়ার পথের থেকেও সঙ্কটময়। একেবারেই চলইতে শঙ্কিল পঙ্কিল বাট’। এবারের পুজোর সফরে দল ভারী হবে মনে করা হচ্ছিল। […]
বিশেষ ভ্রমণ
বালমিঠাই বনাম রসকদম্ব
দীপক দাস মিষ্টি নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করতে হবে কোনওদিন ভাবিনি। সাহিত্যে একটা তুলনামূলক শাখা হয়। পড়াশোনা করে ডিগ্রিও পাওয়া যায়। এক সময় খুব ইচ্ছেও ছিল পড়ার। কিন্তু নম্বরে কুলিয়ে উঠতে পারিনি। ফলে…তুলনামূলক মিষ্টি। গোলটা বাঁধিয়েছে বাল মিঠাই। উত্তরাখণ্ডের মিষ্টি। আসলে আলমোড়ার। আলমোড়ার দু’টো মিষ্টি স্পেশাল। তার একটা হল বাল মিঠাই। না, এর মধ্যে আলমোড়ায় যাওয়া […]
অভিমানী নদী গুমানী, স্টেশনও
সৌগত পাল গুমানী কথাটার অর্থ হিন্দিতে অভিমানী। ছোট্ট একটা নদী। ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাহেবগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। সামনেই নদীর নামে স্টেশনও। সেটাও নদীর মতোই ছোটোখাটো। আগের স্টেশন কোটালপুকুর। আর একটু বড় স্টেশন পাকুড়। গুমানী ছোটখাট হলেও একটা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। কারণটা হল, এটা রেল বর্ডার। মানে পূর্ব রেলের হাওড়া আর মালদহ ডিভিশনের বর্ডার। এই স্টেশন পর্যন্ত হাওড়া ডিভিশনের […]
এক রাতে তিন জেলার পুজো
বিভাস বাগ পুজোর সময়ে বাড়ি থেকে পালাই, প্রতি বছর। প্রতি বছর মানে বেশ কয়েক বছর ধরে এটাই চলছে আমাদের। আমাদের মানে ‘যথা ইচ্ছা তথা যা’ গ্রুপের। ওহ্! আমাকে তো চিনতে পারছেন না? ওই যে দীপু, ইন্দ্রদা, গার্ডবাবু, বড়দার লেখায় যাকে ‘ছোটা ডন’ বলে লেখা হয়, আমিই সেই ডন। অনেক সময়ে বাবলা বলেও লেখা হয়। ওটা […]
ছানাবড়ার ছুটোছুটিতে দইয়ের ঝুড়ি
দীপক দাস ঘাঁটি গেড়েছিলাম ওমরাহ গঞ্জে। আমি আর ইন্দ্র। জায়গার নাম শুনেই মালুম অভিজাত এবং ক্ষমতাবানদের এলাকা। নবাবি আমলের আমির ওমরাহ থাকতেন এখানে। দিল্লির কনট প্লেসের মতো। ভাবছেন নিশ্চয় নবাবি খানা খেতে ঘাঁটি গেড়েছি আমরা? ভাবনার জন্য দোষ দেওয়া যায় না। সঙ্গে যখন ইন্দ্র আছে তখন এমন ভাবনাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা নবাবি খানার খোঁজে ওমরাহ […]
ফরাসি গঙ্গার পার আর ওলন্দাজ গোরস্থানে বিপদ
দীপশেখর দাস আমাদের যথা ইচ্ছা তথা যা দলের পথচলা শুরু মঙ্গলযাত্রা দিয়ে। দলের অধিনায়ক দীপকদার সাপ্তাহিক ছুটি মঙ্গলবারে। সহ-অধিনায়ক (সময় বিশেষে অধিনায়ক) ইন্দ্রদাও ব্যবসা বন্ধ রাখে ওই দিন। বাকি আমি, বাবলা, সৌগতরা তখন অকেজো। কাজেই আমাদের অফুরন্ত সময়। তাই আমাদের যাত্রা হত ওই মঙ্গলেই। ক্রমেই আমি, বাবলা, সৌগত বড় হলুম। মঙ্গলবারে ব্যস্ত হয়ে পড়লুম। ক্যাপ্টেন […]
বর্ষার জলছবি
যথা ইচ্ছা তথা যা ভর বাদর মাহ ভাদর এবার হয়নি। ছেঁড়া ছেঁড়া ক্ষণিকের মেঘ। স্থানীয় বৃষ্টি। তবুও কবি-প্রিয় বরিষণমুখর ক্ষণে জন্ম হয়েছে কত ছবির। তা নিয়েই আজকের বর্ষা-সফর। মুহূর্তের কথা যখন উঠল তখন বৃষ্টিতে জন্ম নেওয়া দৃশ্যের কথাই হোক। শুভ বৈদ্য এবং দীপশেখর দাস দুই বন্ধু। প্রথমজনের ছবি তোলায় পাকা হাত। এক একটা ক্লিকে অবিস্মরণীয় […]
ট্রেন থেকে বাঁকে বাঁকের ছোট নদী
সৌগত পাল সেই ছোটো বেলার কবিতায় পড়া নদী। ‘আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে’। রবি ঠাকুরের কোপাই। আমাদের ‘সহজপাঠ’এর কোপাই। কিন্তু এখন নদীতে বৈশাখ মাসে হাঁটু জলও থাকে না। শুকনো খটখটে। নদী বলে তখন একে চেনা যায় না। রেল কোম্পানির বোর্ডে এর নাম দেখে বুঝে নিতে হয়। ওহ এই সেই কোপাই! আমাদের নস্টালজিয়ার কোপাই। এখন […]
১২৬ পা মেপে দাদাঠাকুরের বাড়ি
দীপক দাস ‘এই লোকটার বাড়ি যেতে চাই।’ আমার কথা শুনে টোটোচালক বেশ অবাক। হওয়ারই কথা। আশেপাশে তো কোনও লোকই নেই। লোকটাকে দেখানোর জন্য আমার আঙুল যেদিকে প্রসারিত সেদিকেও কেউ নেই। একটু দূরে একটি ছেলে একটা মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে। এ ছাড়া যা লোকজন সব গতিশীল। টোটো, অটো, বাইক, সাইকেল, বাসে, হেঁটে চলেছেন। তাহলে কোন […]
আকাশ চরে কাশবনে এক আনকোরা
দীপশেখর দাস তিষ্ঠানো আমার ধাতে নেই। ভাগ্যেও নেই। একেবারে টিনটিন আর ক্যাপ্টেন হ্যাডকের মতো। ‘চন্দ্রালোকে অভিযান’ মনে পড়ে? দু’জনে সবেমাত্র মার্লিন স্পাইকে ফিরেছে। ক্যাপ্টেন নেস্টরকে ব্যাগপত্র খালি করতে বলল। ঠিক তখনই ক্যালকুলাসের টেলিগ্রাম। তাদের যেতে বলছে বিদেশে। ক্যাপ্টেন নেস্টরকে বললেন, তাহলে আর ব্যাগ খালির দরকার নেই। আমারও তাই দশা। কিছুদিন আগে কর্মসূত্রে যেতে হয়েছিল হিমাচল […]