ইতিহাস ছুঁয়ে বিশেষ ভ্রমণ

শেষবারের মতো হীরাঝিল প্রাসাদে এলেন সিরাজ

ফারুক আব্দুল্লাহ

মুর্শিদাবাদে নবাবদের স্মৃতিবিজড়িত বহু প্রাসাদ দেখেছি। বাসনা ছিল নবাব সিরাজ উদ দৌলার হীরাঝিল বা মনসুরগঞ্জ প্রাসাদ দেখার। সেই ছোটবেলা থেকেই শুনতাম, সিরাজের সেই প্রাসাদের কোনও অস্তিত্বই আর নেই। বহু বছর আগেই ভাগীরথীতে তলিয়ে গিয়েছে। প্রায় বছর ছয়েক আগে এক পরিচিত দাদার কাছে শুনেছিলাম, হীরাঝিল প্রাসাদ ধ্বংস হয়ে গেলেও প্রাসাদের ভিত আজও কিছুটা অক্ষত রয়েছে। ভাগীরথীর ধারে হীরাঝিলের ভিতের কিছু অংশ ঝুলে আছে। কিছু অংশ নদীতে ভেঙেও পড়েছে। এসব সেই দাদার তোলা ছবিতেই দেখেছিলাম। আরও জেনেছিলাম, জল বাড়লে নদীর মধ্যে পড়ে থাকা প্রসাদের ধ্বংসাবশেষগুলো জলে ডুবে যায়। জল কমলে জেগে ওঠে।

দাদার কাছে হীরাঝিলের গল্প শুনে এবং ছবি দেখার পর থেকেই যাওয়ার জন্য মন টানছিল। কিন্তু সেখানে যাওয়ার কোনও উপায় আমার জানা ছিল না। ফলে আবার সেই দাদার শরণাপন্ন হতে হল। দাদা জানাল, মীরজাফরের জাফরাগঞ্জ প্রাসাদের ঠিক উল্টোদিকে ভাগীরথীর অপর পারেই এই প্রাসাদ। স্যাটেলাইট ম্যাপে হীরাঝিল প্রাসাদের এলাকা খুঁজে পেলেও ম্যাপে প্রাসাদটি দেখতে পেলাম না। কারণ এই এলাকাটি গাছ-গাছালিতে পুরো ঢেকে আছে। ফলে এরিয়াল ভিউয়ে জঙ্গল ছাড়া আর কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না।

ডাহাপাড়া থেকে হাজারদুয়ারি।

প্রাসাদে যাওয়ার উপায় খুঁজছিলাম। আসলে সেই দাদা আমাকে জানিয়েছিল, সেখানে যাওয়ার একমাত্র সহজ উপায় নৌকা। কিন্তু একটা বিপদ ছিল। যেহেতু আমি সাঁতার জানি না সে ভাবে তাই বাড়ি থেকে সমস্ত রকমের জলযানে ওঠা আমার জন্য বারণ। নৌকায় চড়ার একটা ভীতি কাজ করত সবসময়। কিছুটা দমেই গেলাম। প্রবাদ আছে, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। উপায় হয়েছিল ২০২০ সালে। এ ব্যাপারে অবশ্য সুব্রতদার অবদান ছিল ষোল আনা।

হীরাঝিলের পথে।

২০২০ সালের শেষ প্রান্তে সুব্রতদার বাইকে করে একদা বাংলা সুবার রাজধানী মুর্শিদাবাদ শহরের অলি-গলি ঘুরে নবাবী আমলের অজানা ইতিহাসের সন্ধান করতাম। একদিন দাদা বলল, ‘‘হীরাঝিল প্রাসাদে যাবে?’’ বললাম, ‘‘এমন লোভনীয় অফার কি ছাড়া যায়? কিন্তু কী ভাবে যাব?’’ দাদা জানাল, হীরাঝিল প্রাসাদ যে জমির উপর সেই জমি নাকি তার প্রিয় ছাত্র সুদীপ্তদের। সুদীপ্তই দাদাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তবে নৌকার ভয়টা ছিল। সেই ভয়ও কেটে গেল যখন শুনলাম, আমরা ডাহাপাড়া ঘাট দিয়ে যাব। সেখানে বড় ইঞ্জিনের নৌকা চলে। সেই নৌকায় মানুষ তো বটেই চার চাকার গাড়িও পার হয়।

এই জায়গা ছিল প্রাসাদের অংশ।

দাদার সঙ্গে কথা বলে ঠিক হল, ২৮ অক্টোবর ২০২০ আমরা হীরাঝিলে যাব। আমাদের দু’জনের বাড়ি দুই দিকে। মিটিং পয়েন্ট ঠিক করেছিলাম মুর্শিদাবাদ শহর। নির্দিষ্ট দিনে সকালে আমরা শহরের কেল্লা নিজামতে দেখা করি। সেখান থেকে দাদার বাইকে ডাহাপাড়া ঘাটে। ঘাট পার করে আরও কয়েক কিমি গিয়ে প্রথমে আমরা সুদীপ্তদের বাড়ি পৌঁছই। সুদীপ্তদের বাড়িতে মিলল কাকু কাকিমার উষ্ণ অভ্যর্থনা। আমাদের প্রচুর নিষেধ সত্ত্বেও প্রচুর খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেছিলেন। খাওয়ার পরে কিছুটা বিশ্রাম নিয়েই বেরিয়ে পড়লাম সিরাজের স্বপ্নের হীরাঝিল প্রাসাদের উদ্দেশ্যে।

প্রাসাদের অংশ বিশেষ।

আমরা ধানের জমির সরু আল বরাবর হাঁটতে থাকলাম। জমি পার করে এল বিরাট কলা বাগান। সেই কলা বাগান পার করে পৌঁছে গেলাম এক গভীর বাঁশ বাগানে। সুদীপ্ত বলল, এটিই নবাব সিরাজ উদ দৌলার প্রাসাদ হীরাঝিল। সুদীপ্তর কথা শুনে আমি বেশ হতবাক। হীরাঝিল সম্পর্কে শোনা আমার গল্পের সঙ্গে যে কিছুতেই মিলছে না আজকের এই হীরাঝিল।

সিরাজ তখনও নবাব হননি। দাদু আলিবর্দির কাছেই আদরে বড় হচ্ছেন। আলিবর্দি খান নবাব হওয়ার পর মেয়ে মেহের উন নিসা বেগম ও জামাই নাওয়াজেস মহাম্মদকে ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে নিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের বসবাসের জন্য নবাবি কেল্লার কাছাকাছি নিরিবিলি একটা অঞ্চলে মেয়ে জামাইয়ের জন্য প্রাসাদ নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। পুরনো ভাগীরথী নদীর হারানো গতিপথ যা সেই সময় অশ্বখুরাকৃতি ঝিলের আকারে ছিল, সেই তিনদিক জল দিয়ে ঘেরা নিরাপদ স্থানেই নবাব সেটি তৈরি করান। প্রাসাদটি সাঙ্গ-ই-দালান নামে পরিচিত ছিল। যেহেতু এই প্রাসাদ সংলগ্ন ঝিলে মোতি চাষ করা হতো তাই এই অঞ্চলটি মোতিঝিল হিসেবে পরিচিত হয়। মজার বিষয় হল, মাসী ঘসেটি বেগমের সঙ্গ-ই-দলান প্রাসাদটি সিরাজের বড্ড মনে ধরেছিল। হয়তো তিনিও ভেবেছিলেন এমন একটি প্রাসাদ বা এর থেকেও ভাল প্রাসাদ নির্মাণ করার কথা।

সন্ধানের ফাঁকে সেলফি।

কিন্তু এর মধ্যেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছিল। নবাব আলিবর্দি খান ইতিমধ্যেই তাঁর উত্তরাধিকারী হিসেবে সিরাজকে মনোনীত করেছিলেন। কিন্তু মেহের উন নিসা তাতে রাজি হতে পারেননি। কারণ নবাব হিসেবে তিনি দেখতে চেয়েছিলেন তাঁর পালিত পুত্র ও সিরাজের ভাই ইকরাম উদ দৌলাকে। আসলে তিনি কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সিরাজকে একদমই পছন্দ করতেন না। সিরাজও মাসির প্রতি বিরূপ ছিলেন। নবাব সিরাজ তাঁর মাসির মোতিঝিলের সাঙ্গ-ই-দালান প্রাসাদকে টেক্কা দিয়ে তার থেকেও আরও জাঁকজমপূর্ণ প্রাসাদ নির্মাণের কথা ভাবেন। দাদু আলিবর্দি খানকে রাজি করিয়ে ফেলেন। ভাগীরথীর পশ্চিম পারে নদী থেকে বেশ কিছুটা দূরে আনুমানিক ১৭৫০ সালে সিরাজ তাঁর জন্য একটি সুরম্য প্রাসাদ নির্মাণ করান। এবং প্রাসাদ সংলগ্ন একটি অংশে ঝিল খনন করে নাম তার নাম দেন হীরাঝিল। সিরাজ হয়তো মোতিঝিলকে টেক্কা দিতেই এমন নামকরণ করেছিলেন। মোতির চেয়ে হীরার মূল্য ছিল অনেক বেশি। হীরাঝিল প্রাসাদের জৌলুস দেখে নাকি মানুষ বাকহারা হয়ে পড়তেন। কথিত, হীরাঝিল প্রাসাদ তিনটি দিকে ভাগ করা ছিল। মজার বিষয়, এই তিন দিকের আকার এমন ছিল যে প্রাসাদের তিন দিক দেখলে নাকি তিনটি পৃথক প্রাসাদ বলে মনে হত। প্রাসাদের গরিমায় প্রভাবিত ব্রিটিশরা নাকি বলতেন, নবাব সিরাজের হীরাঝিল প্রাসাদ তিনজন ইউরোপীয় রাজার বসবাসের উপযুক্ত।

জলে ডুবেছে প্রাসাদ।

হীরাঝিল প্রাসাদে প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় নাচ গানের আসর বসত। তখন এই সমগ্র চত্বর ভরে যেত সারেঙ্গীর মিষ্টি সুরে। দিল্লি থেকে ফৌজি বাঈকে এনে সিরাজ এই প্রাসাদেই তুলেছিলেন বলে কথিত আছে। তিনি নবাব হয়ে এই প্রাসাদেই তাঁর দরবার বসাতেন। কিন্তু নবাব সিরাজ তাঁর স্বপ্নের প্রাসাদটি তেমন ভাবে ভোগ করতেই পারেননি। কারণ তিনি মসনদে বসার পর পরই তাঁর বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র শুরু হয়। যার পরিণতি পলাশির যুদ্ধ। পলাশির যুদ্ধের দিন সন্ধ্যেবেলায় নবাব শেষবারের মতো এই প্রাসাদে আসেন। প্রয়োজনীয় কিছু দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে প্রাসাদ ত্যাগ করেন। নবাব সিরাজ হয়তো সেদিন ভাবতেও পারেননি যে, তাঁর আর কোনওদিনই হয়তো হীরাঝিল প্রাসাদে ফেরা হবে না। তিনি ধরা পড়ে যান। তার পর তাঁকে কিছুদিন জেলে আটকে রেখে হত্যা করা হয়। তাঁর মৃত্যুর পর এই প্রাসাদের দখল নেন বাংলা সুবার নতুন নবাব মীরজাফর আলী খান বাহাদুর।

দেখা যায় প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ।

কথিত আছে, রবার্ট ক্লাইভ নাকি মীরজাফরকে হীরাঝিল প্রাসাদের দরবার কক্ষে রাখা মসনদে বসিয়ে নবাবের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। জনশ্রুতি বলে, পলাশি যুদ্ধের পর যুদ্ধের যড়যন্ত্রকারীরা মিলে হীরাঝিল প্রাসাদে নবাব সিরাজের সমস্ত ধনসম্পদ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। সিরাজের এই বিপুল সম্পদের ভাগ পেয়ে অনেকেই বিরাট জমিদারি কিনে ফেলেন। মুন্নি বেগমও নাকি সিরাজের এই সম্পদের ভাগ পেয়েই ধনী হয়েছিলেন।

হীরাঝিলের কথা ভাবতে গিয়ে আমি যেন অতীতেই তলিয়ে গিয়েছিলাম। সম্বিৎ ফিরল সুব্রতদার ডাকে। দেখি দাদা নদীর দিকে আঙুল দেখিয়ে হীরাঝিলের ভগ্নাবশেষ দেখাচ্ছে। এবার নদীর পাড় থেকে কিছুটা ঝুঁকে প্রাসাদের নিজের অংশটি দেখলাম। প্রাসাদের বিরাট একট ভগ্ন খণ্ড, খুব বিপদজনক ভাবে ভিতের সঙ্গে ঝুলে আছে। কখন যে খুলে নদীতে তলিয়ে যাবে! প্রতি বছর নদী ভাঙনে নাকি প্রাসাদের অবশিষ্ট অংশ এভাবেই একটু একটু করে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

আজকের এই অংশেই ছিল প্রাসাদ।

আমরা খুব বিপদজনক সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে প্রাসাদের ভিতের বিভিন্ন দিক খুঁজে দেখছিলাম। যদি কিছু নতুন তথ্য হাতে আসে। সুব্রতদা এবং সুদীপ্ত দু’জনেই প্রাসাদের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে চলেছে। কিছুটা এগিয়ে যেতেই দেখি বাঁশবনের ভিতরে এক বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে। বুঝলাম আমাদের দেখে তাঁর মনে বেশ কৌতূহল। আমরা তাঁর কৌতূহল নিবারণ সুযোগ না দিয়েই নানান প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করতে শুরু করলাম। নানান কথার মাঝে বৃদ্ধ বললেন, ‘‘এখানে কোনও বড় গাছ জন্মায় না। কারণ নীচে সব মেঝে করা আছে। লাঙল চালালেই ফলা প্রাসাদের মেঝেতে ঠেকে যায়।’’ কথাটা শুনেই শিহরিত হলাম। মনে হল কোনও এক অজানা রহস্য যেন আমাদের সামনে উন্মোচিত হতে চলেছে। এবার প্রাসাদের মূল অংশটি খুঁজতে আমরা সেই বাঁশবাগানের ভিতরে ঢুকলাম। ভিতরটা দুপুর বেলাতেও কেমন যেন অন্ধকার ও স্যাঁতস্যাঁতে। প্রাসাদের মেঝে খুঁজছিলাম। কিন্ত খুঁজে পাওয়ার কোনও উপায় নেই। একে তো অন্ধকার তার উপর অজস্র বাঁশ পাতা পড়ে ঢেকে আছে সব।

প্রাসাদের কিছু নিদর্শন।

এর মধ্যেই এদিক সেদিক তাকাতে একটা নকশা চোখে পড়ল। ইটের তৈরি কেমন যেন খাঁজ কাটা নকশা বিরাট অংশ জুড়ে। ছবি তোলার চেষ্টা করলাম। ছবি ভাল এল না। বাস্তবে যা নজরে আসছে ছবিতে তা বোঝাই যাচ্ছে না। আরও সামনের দিকে এগোলাম। যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই দেখি প্রাসাদের নানান চিহ্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এসব দেখে মনটা বেশ ফুরফুরে হয়েছে। এদিকে নদীর মিষ্টি হওয়াও এসে গায়ে লাগতে শুরু করেছে। পরিবেশ মনোরম হয়ে উঠেছে। ছবি তোলার কাজও চলছে। এর মধ্যেই চোখ গেল, ভাগীরথীর পূর্ব পারে হাজারদুয়ারি প্রাসাদের দিকে। হীরাঝিল থেকে হাজারদুয়ারী প্রাসাদ খুব ছোট দেখাচ্ছিল। তবুও সেই দৃশ্য ছিল অপূর্ব। ভাবতেই কষ্ট হচ্ছিল নবাব সিরাজ উদ দৌলার প্রাসাদে আজ ঘুঘু চরছে। কিন্তু যারা সিরাজকে ক্ষমতা থেকে সরাতে যড়যন্ত্র করল, তাঁকে হত্যা করল তাঁদের বংশধরদের নির্মিত প্রাসাদের জৌলুস আজও বিদ্যমান। এসব ভাবতে গিয়ে মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছিল। ভারাক্রান্ত মনেই হীরাঝিল থেকে হাজারদুয়ারি প্রাসাদের ছবি তোলার চেষ্টা করলাম। কিন্ত ছবি মোবাইল ক্যামেরায় ভাল ছবি আসছিল না। তার প্রধান কারণ ছিল দূরত্ব। তবুও বেশ কয়েকটি ছবি তুলে ফেললাম। মন বলছিল, আর হয়তো এখনে আসা হবে না। এরই মধ্যে সুব্রতদা জানাল, এবার আমাদের হীরাঝিল থেকে বেরোতে হবে। দাদার জরুরি কাজ মনে পড়েছে।

ফিরতে তো হবেই জানি। কিন্ত হীরাঝিল ছেড়ে কিছুতেই যেতে ইচ্ছে করছে না। সমগ্র হীরাঝিল জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এক অদ্ভুত প্রশান্তি যেন গ্রাস করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু উপায়ও নেই। বিকেলের মধ্যে সুব্রতদাকে বহরমপুরে ফিরতেই হবে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই নবাব সিরাজের হীরাঝিল প্রাসাদকে বিদায় জানিয়ে নদীর ধারের সরু মেঠো রাস্তা বরাবর এগিয়ে যেতে থাকলাম। ইতিহাসের এক নিরব সাক্ষী হিসেবে পিছনে একা পড়ে রইল নবাব সিরাজের হীরাঝিল প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ।

প্রচ্ছদের ছবি— হীরাঝিল থেকে হাজারদুয়ারি

ছবি— লেখক

(সমাপ্ত)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *