অন্য সফর বিশেষ ভ্রমণ

বঙ্গেশ্বরীর থান পেরিয়ে নদের সঙ্গে দেখা

দীপক দাস

১৪২৫ বঙ্গাব্দের বর্ষাকাল প্রারম্ভে দুই বাইক আরোহী পুরুষ পাতিহাল হইতে মান্দারনের পথে গমন করিতেছিলেন…। সে আর হল কই! কতদিনের ইচ্ছে গড় মান্দারন যাব। সেই ভ্রমণ কাহিনির শুরুটাও ভেবে রেখেছিলাম। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘দুর্গেশনন্দিনী’। জগৎসিংহের গড় মান্দারন গমনের ছায়া অবলম্বনে। আমরা অনেক জগৎ সিংহ হাজির হয়ে যাব। নানা মাপের সদস্য দলে। তিলোত্তমা, বিমলা, ‘এই বন্দিই আমার প্রাণেশ্বর’ বলা আয়েষারও হিল্লে হয়ে যাবে।

কিন্তু কপাল যে বড়ই নিরেট। বেশ কয়েকটি জগৎ সিংহ ভীষণ ব্যস্ত। বটানি জগৎ সিংহ হিমাচলে। গার্ড জগৎ রেলগাড়ির কামরায়। কচি জগৎ দক্ষিণে। ফার্গো জগৎ ফেসবুকে একই সঙ্গে বাণীকুমার এবং জ্ঞান সিং সেজে বসে রয়েছে। ছোটা ডন জগৎ সিংহ কারখানায়। পড়ে রয়েছি শুধু দাড়ি জগৎ আর মোটা জগৎ। কিন্তু আমাদেরও তো নানা কাজ। এক মঙ্গলবার খোঁজখবর করেও শেষ মুহূর্তে বাতিল করতে হল গমন। এদিকে মনের ভেতর রোজকার যাপনের ক্লান্তি, ক্লেদ। হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। একটা করে মঙ্গলবার যায় আর মন খারাপে ভেঙে পড়ি।

খাবারের খোঁজে।

তারপর এক মঙ্গলবার মোটা জগৎ সিংহকে চরমপত্র দিলুম। আজ নয়তো আর নয়। কাজ হল বাইক নিয়ে শিরস্ত্রাণ গলিয়ে দে ছুট। বেরিয়ে পড়ার মজা আছে। অ্যাডভেঞ্চার হয়। কিন্তু রাস্তা ভুল করলে? কী জন্ডিস কেস হয়। হাওড়া ছাড়িয়ে হুগলিতে ঢুকতেই ইন্দ্রর বায়না শুরু হল, রাস্তা চেনো তো? চিনি না। আগের বার যাওয়ার তোড়জোড়ের সময়ে তপন হুদাতিদাকে ফোন করে পথের হদিশ জেনেছিলাম। কিন্তু সেসব এখন গুপ্তধনের সংকেতের মাঝের শব্দ ভুলে যাওয়ার মতো। সেই স্মৃতি সংকেত ধরে বাইক চালালে গড় মান্দারনের পরিবর্তে চর মান্দারনে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা। সুতরাং সীতাপুর পেট্রোল পাম্পে তেল নেওয়ার সময়ে এক প্রস্ত জানকারি হাসিলের চেষ্টা। একজন পাম্পের সেলসম্যান। আরেকজন বসেছিলেন। কেউ বলতে পারলেন না। যিনি বসেছিলেন তিনি গড় মান্দারন শব্দটাই শোনেননি। কী যেন একটা উচ্চারণ করলেন। শুনে হাসি এল।

বেরিয়ে এলাম। হুগলির এই এলাকা দিয়ে আমরা বহুবার বাইক হাঁকিয়েছি। বেশ সুন্দর। বর্ষার শুরুতে জমিতে ট্রাক্টর নেমেছে। আর সেই যন্ত্রদানবের পিছু নিয়েছে প্রচুর বক। ঘুরছে, উড়ছে, পোকা খাচ্ছে। একে একে পার হলাম অশোক কুণ্ডু মহাশয়ের করা রবীন্দ্র পার্ক। জঙ্গল সুফি। এক সাধকের নামে এলাকা। বিশাল মাজার রয়েছে। ইচ্ছে আছে এই সুফি সাধক সম্পর্কে একবার এসে খোঁজখবর করে যাব।

ইন্দ্র আর ঝুঁকি নিতে পারল না। ফোন করলাম তপন হুদাতিদাকে। ফোন ধরল না। বোধহয় ক্লাস নিচ্ছে। ইন্দ্রকে বললাম, পথ নির্দেশ অনুযায়ী আমাদের চাঁপাডাঙা যেতেই হবে। সেই পর্যন্ত তো চল। তারপর দেখা যাবে।

এই সেই বঙ্গেশ্বরীর মন্দির।

আমাদের এই যাত্রাপথে আমরা চারটে জিনিসের সন্ধান পেয়েছিলাম। তার তিনটেই আঁটপুর অঞ্চলে। প্রথমটি বঙ্গেশ্বরী মন্দির। বামনগর এলাকায়। রাস্তায় এখন নীল নীল সাইনবোর্ড থাকে না! সেই রকম একটা বোর্ডেই দেখাছিলাম নামটা, বঙ্গেশ্বরী মন্দির। দেবদ্বিজে ভক্তি আমাদের দু’জনেরই নেই। ইন্দ্র আবার দেবস্থান দেখলে অনেকটা কালাপাহাড়ের মতো আচরণ করে। ফলে না থেমে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিলাম। যেতে যেতেই ইন্দ্রকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলাম, আঁটপুরবাসীদের দূরদর্শিতার কথা ভেবে একবার মন্দিরে ফেরা উচিত। ভেবে দেখ, সেই কতদিন আগে ওঁরা জেনে গিয়েছিলেন, এই বাংলার দুর্গতি দূর করতে এক সময়ে বঙ্গেশ্বরের এলেমে কুলোবে না। বঙ্গেশ্বরীর আগমন ঘটবে। তিনি গড়বেন সোনার বাংলা। বা টেমসের বেঙ্গল। যাবি না?

তাঁরই অনুপ্রেরণায়। সমৃদ্ধি।

ঘ্যানঘ্যান কাজ হল। ইন্দ্র বাইকের মুখ ঘোরাল। ছবি তোলা হল। এবার ইতিহাস খোঁজার পালা। রাস্তার পাশে কলে চান করছিলেন একজন। তাঁকে ধরলাম। কিন্তু এটা জমিদারদের তৈরি। প্রতি বছর পুজো হয়। অনেক পুরনো। এর বেশি ইতিহাস তাঁর জানা ছিল না। জানা গেল না, বঙ্গেশ্বরীর আবির্ভাবের পুরা কথা। আমরা ‘জয় বঙ্গেশ্বরী’ বলে বাইক হাঁকালাম।

নতুন করে আবিষ্কার করা গেল আঁটপুরের মঠটাও। আঁটপুরে একটা মঠ আছে ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি। আমাদের এলাকা থেকে অনেকেই সেই মঠে যান। রামকৃষ্ণ মিশনের মঠ। আমাদের তেমন আগ্রহ ছিল না। তাই মঠ পেরিয়েই চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুটা গিয়েই থামতে হল। রাস্তার পাশেই একটা বিশাল তোরণ। ইটের ক্ষয়াটে অবয়বে বোঝা যায়, একসময়ে বেশ জাঁকাল ছিলেন এটির নির্মাতারা। তোরণের সামনে দাঁড়ালে দূরে আম গাছের আড়াল থেকে দেখা যাচ্ছে সুউচ্চ চূড়া। একটা মন্দির। বেশ প্রাচীন। ঢুকে পড়া গেল। প্রশস্ত মাঠ পেরিয়ে হাজির মন্দিরের দরজার সামনে। দরজা বন্ধ। মন্দির চারটের সময়ে খোলে। ফিরতে হবে। কিন্তু কী মন্দির, কেন মন্দির? স্বাভাবিক একটা প্রশ্ন জাগেই। তার উত্তর মিলল তোরণের সামনের একটা ফলক থেকে। জানা গেল, মন্দিরটি রাধাগোবিন্দ জিউর। মন্দিরের শোভা বৃদ্ধির জন্য এই ফটকটি নির্মাণ করেছেন প্রসন্নকুমার মিত্র। সন ১২৯৮। এর অর্থ, মন্দিরটি আরও পুরনো।

তোরণ ছাড়িয়ে কিছুটা গেলেই একটা মাঠ। রাস্তার পাশেই। খানচারেক মন্দির। বেশ পুরনো। টেরাকোটার কাজ রয়েছে। তাতে নানা পৌরাণিক কাহিনীর বর্ণনা। এই মন্দিরগুলো রাধাগোবিন্দ জিউর মন্দিরের পাঁচিল লাগোয়া। মনে হয় মিত্রদেরই তৈরি। মন্দিরের শোভা দেখছি, তখনই তপনদার ফোন এল। গড় মান্দারনের পথ নির্দেশ জানতে চাইলাম। তপনদা বলল, আজ আর পৌঁছতে পারবি না। কিন্তু কোথায় আছিস? বললাম। আরে ওই জমিদার বাড়ির কাছেই মঠ। বিবেকানন্দ এসেছিলেন। তার মানে আঁটপুরের মঠ! আবার ফিরলাম ফেলে আসা মঠে। আরেক টুকরো ইতিহাস জানা হল। বিবেকানন্দ এবং তাঁর আট শিষ্য এই স্থানেই সংসার ত্যাগ করে জীবসেবায় ব্রতী হওয়ার সংকল্প নিয়েছিলেন। শিষ্যদের মধ্যে বাবুরাম সন্ন্যাস জীবনে যিনি প্রেমানন্দ হিসেবে পরিচিত, তাঁর বাড়ি এই আঁটপুরে। জায়গাটা বেশ ভাল। প্রচুর গাছপালা। ঘাট বাঁধানো পুকুর। এখানে অনায়াসে শরৎচন্দ্র, বিভূতিভূষণের গল্প অবলম্বনে কোনও সিনেমার লোকেশন বাছা যায়।

রাধাগোবিন্দ জীউর মন্দির।

মঠ ও মন্দির দেখা হল। ইন্দ্র জানতে চাইল, আর এগোবে? আমি রাজি। গড় মান্দারন না যেতে পারি অন্তত অর্ধেক গন্তব্য চাঁপাডাঙা পর্যন্ত তো যাবই। আবার বাইক। আবার পথের হদিশে জিজ্ঞাসাবাদ। এবার বলি, ইন্দ্র কিন্তু বারবারই ওর গুবলেটেশ্বর নামটা সার্থক করেছে। এই যাত্রাতেও। প্রতিটি পথ নির্দেশ গুলিয়েছে। আর পাকা রাস্তার বদলে আমরা গিয়ে পড়েছি কাদায় ভরা রাস্তায়। তাতে একটা লাভও হয়েছে। পথের পাশে অসাধারণ একটা ছবি পেয়েছি। একটা বেদিতে দু’টো বাঘের মূর্তি। তার একটাতে সওয়ার এক বালক। ছবি তুলতেই হয়। কিন্তু আমাদের দাঁড়াতে দেখে বাচ্চাটা বোধহয় ঘাবড়ে গিয়েছিল। ইন্দ্র ম্যানেজ করল। বলল, ‘বাবু, একবার তাকাও তো দেখি?’ বাচ্চাটা সঙ্গে সঙ্গে বাঘের গলাটা জড়িয়ে ধরে পোজ দিল। মনে মনে বললুম, বড় হও বাপু, কিন্তু বাঘের পিঠে সওয়ারি হোয়ো না।

অহল্যাবাঈ এখন বেশ চওড়া। এখনও বেশ কিছু জায়গায় কাজ হচ্ছে। রাস্তাটা সোজা খড়্গপুর ধরে কলকাতায় পৌঁছেছে। সেই রাস্তা ধরে চাঁপাডাঙা মোড়। জায়গাটা ঠিক পছন্দ নয়। বড্ড গাড়ি ঘোড়া, ঘিঞ্জি। ঘাটাল, ক্ষীরপাইয়ের বাস যাচ্ছে। নামগুলো খুব চেনা। কর্মসূত্রে রোজই নামগুলো পড়তে হয়। ভালই লাগছিল। ইন্দ্র আবার প্রশ্ন করল, আর যাবে? গেলামও কিছুটা। বড় সড়ক ধরে। কিন্তু ঠিক পছন্দ হল না। এই রাস্তা ধরে অনেকবার গেছি। বিষ্ণুপুর যাওয়ার সময়ে, জয়পুরে যেতে গিয়ে। ইন্দ্রকে বললাম, নতুন রাস্তা ধর। চাঁপাডাঙা মোড়ের আগে একটা রাস্তা ডানদিকে বাঁক নিয়েছে। বাঁক নিলাম সেদিকে। পাকা রাস্তা। কিন্তু রাস্তার পাশে বেশ বাড়িঘর। গ্রাম তবে জমাট। কিছুটা যাওয়ার পরে মনে হল, এটা কোনও বাঁধ। রাস্তার পাশের শরবন, রাস্তার অনেকটা নীচে জমি দেখে তাই মনে হচ্ছিল। তার মানে সামনে কোনও নদী থাকার কথা। সেই নদী না দেখে কি যাওয়া চলে?

আঁটপুরের মঠ।

বাইক এগোল। আস্তে আস্তে বাড়িঘর কমতে লাগল। বাড়তে লাগল গাছপালা। তারপর একটা বাঁক ফিরতেই দেখা হয়ে গেল তার সঙ্গে। ঘন শরবন আর গাছপালার ফাঁক দিয়ে বয়ে চলেছে ঘোলা জলের রাশি। একটা নৌকা ভাসছে। নদীর সঙ্গে দেখা। কোন নদীকে দেখতে হলে একটা সেতু দরকার হয়। এই নদীর কোনও সেতু নেই? রাস্তায় লোক কম। কাকে জিজ্ঞাসা করি? কিছুটা এগোতে দু’টো ছেলেকে হেঁটে আসতে দেখা গেল। তাদের কাঁধের পাশ দিয়ে উঁকি মারছে ইঞ্জিনিয়ারদের টি-মার্কা স্কেল। ছেলে দু’টো বলল তারা এখানে সার্ভে করতে এসেছে। এলাকার নাম জানে না। তবে সামনেই একটা ব্রিজ আছে।

বাঘ সওয়ারি।

কিছুটা এগনোর পরে ব্রিজের কাছে পৌঁছনো গেল। হাওড়া থেকে চালু হয়েছে আরামবাগ লাইন। ব্রিজটা রেলের। এলাকাটার নাম জঙ্গলপাড়া। ব্রিজ পেরিয়ে কিছুটা গেলে পড়বে তালদি স্টেশন। আর এটা নদী নয়, নদ। আমাদের সেই চিরচেনা দামোদর। ভুল বললাম। নতুন দামোদর। নতুন করে চিনলাম। দামোদর মানে তো কৃষ্ণ। আর তার রূপ তো ভুবনমোহন। নতুন রূপে ধরা দেবেই। দামোদর এখানে শান্ত। তির তির করে বয়ে চলেছে জল। নদীর চরে প্রচুর গরু ছাগল চরছে। পশুপালকেরাও রয়েছেন। ব্রিজের নদে ভাসছে বেশ কয়েকটা ছোট নৌকা। সেই দূরে দামোদর যেখানে বাঁক নিয়েছে সেখানেও কাগজের নৌকার মতো ভাসছে কয়েকটা। মাছ ধরা চলছে। ব্রিজের আরেক পাশেও মাছ ধরা চলছে। তবে ছিপে। শরবনের ঝোপে এক বৃদ্ধ অখণ্ড মনোযোগে বসে রয়েছেন। এক পাশের শরবন থেকে একটানা একটা শব্দ ভেসে আসছিল। ইন্দ্র বলল, সাপে ব্যাঙ ধরেছে। আকাশে ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের দল। বড় পরিস্কার।

ব্রিজটা শুধু রেল লাইনের জন্য নয়। লাইনের দু’পাশ দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা। দু’দিকের জনপদকে সংযোগ করেছে। গ্রামবাসী, স্কুল ফেরত পড়ুয়া যাচ্ছে আসছে, শিশুদের নিয়ে মায়েরা বৈকালিক ভ্রমণে এসেছেন। আমরা ছবি তুলছি। কতকগুলো মেয়ে স্কুল থেকে ফিরছিল। সাইকেল নিয়ে। তাদেরই একজন হঠাৎ প্রশ্ন করে বসল, ‘তোমরা ছবি তুলছ কেন?’ শুনে শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল। সেই সময়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির প্রবল খবরাখবর চলছে। তার ওপর ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে অপদস্থ করার নানা খবর। স্থানীয়রা যে কোনও একটা গুজবে পেটালে এই শরবনেই আমাদের সমাধি হবে। তাড়াতাড়ি বললাম, তোমাদের ছবি তুলিনি গো। প্রকৃতির ছবি তুলছি। মেয়েটা শুনে বলল, সেটাই তো জানতে চাইছি। কী হবে গো? স্বস্তি পেলাম। আগ্রহী বাচ্চা। বড় হবে ও।

আমি আর ইন্দ্র অনেকক্ষণ থেকে একটা বিষয় বোঝার চেষ্টা করছিলাম। ব্রিজের কিছুটা কাছে যে ছেলেটি নৌকায় মাছ ধরছিল ও বোধহয় মোবাইল ঘাঁটছে। জাল পেতেছে। কিন্তু সেদিকে নজর নেই। মুখ নিচু। হাতটা একটু তোলা। এ লক্ষণ চেনা। ইন্দ্র ক্যামেরা যতটা সম্ভব জুম করে ছবি তুলল। হ্যাঁ, অনুমান সঠিক। হাতে মোবাইল। জলে ভেসে মোবাইল মগ্ন। তার মানে তো ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপও করছে।

ইনিই তিনি।

‘পদ্মানদীর মাঝি’র কথা মনে পড়ে গেল। ইলিশের মরসুমে মাছ ধরা চলছে। কুবের মাঝি অন্য নৌকার মাঝিকে হেঁকে জিজ্ঞাসা করছে, ‘যদু হে এ এ এ মাছ কিবা?’ দামোদরের এই ছেলেটিও হয়তো সেই দূরের বাঁকের নৌকার জেলেকে ফেসবুকে বা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করছে। ‘যদু হে এ এ এ মাছ কিবা?’

যদু মুখ গোমড়া করা একটা ইমোজিতে রিপ্লাই দিয়েছে। হয়তো। যার স্পষ্ট মানে, ‘হালার মাছ ধইরা জুত নাই’।

ছবি- ইন্দ্রজিৎ সাউ

(শেষ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *